এই অতিমারী আবহে অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রির মতো বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিও যে বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সিনেমার শুটিং বন্ধ থেকে মুক্তি পিছিয়ে যাওয়ার মতো একাধিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে সিনে ইন্ডাস্ট্রিকে। তবে নিউ-নর্ম্যালে যখন প্রেক্ষাগৃহের দ্বার খুলছে, তখন এক এক করে সিনেমাগুলিও মুক্তি পাচ্ছে। সেই তালিকারই নবতম সংযোজন শাশ্বত-শ্রাবন্তী জুটির 'ছবিয়াল'। আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে আসছে বহু প্রতীক্ষিত এই ছবি।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee) এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)- টলিউডের একেবারে আনকোরা জুটি। ছবির গল্পও ভিন্ন স্বাদের। তা কীরকম? এই গল্প এক ‘ছবিয়াল’-এর। মানে যিনি পেশায় একজন আলোকচিত্রী কিংবা ফটোগ্রাফার। নাম তার হাবুল। সে শ্মশানে ছবি তোলে। মৃত ব্যক্তির শেষ ছবি তিনিই তুলে রাখেন। একদিন এই শ্মশানেই আসে এক সুন্দরী জমিদার গিন্নি। যাকে দেখে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায় হাবুল। এক দেখাতেই ভালোবেসে ফেলে সে জমিদার গিন্নি লাবণ্যকে। হাবুলের চরিত্রে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। আর সুন্দরী জমিদার গিন্নির ভূমিকায় শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। লাবণ্যও কি হাবুলকে পছন্দ করবে? এ এক বিচিত্র প্রেমের গল্প। সাসপেন্স রয়েছে কাহিনিতে।
কেন শাশ্বত-শ্রাবন্তী? এই গল্প শুনেই হাবুলের চরিত্রের জন্য শাশ্বতর কথা মাথায় এসেছিল পরিচালক মানস বসুর। অন্য আর কাউকে ভাবতেই পারেননি তাই। অন্যদিকে, সুন্দরী অভিনেত্রীর দরকার ছিল। এক্ষেত্রে শ্রাবন্তীই পরিচালকের পয়লা পছন্দ। ইন্দ্রনীল বকসির গল্প নিয়ে মানস তৈরি করেছেন এই ছবি। হুগলির বিভিন্ন গ্রামে হয়েছে ‘ছবিয়াল’-এর শুটিং। পরিচালক মানস বসুর কথায়, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের মতো একজন মেথডিক্যাল অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে পেরে তিনি বেজায় খুশি। অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন। শুটিংয়ের সময় শ্রাবন্তীকে দেখতেও নাকি বেশ ভীড় জমত। আর এই ছকভাঙা কাহিনি যে দর্শকদের ভাল লাগবেই, তা নিয়ে বেজায় আশাবাদী পরিচালক। এখন অপেক্ষা শুধু ১১ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে আসার।