Satyajit Ray Birthday: তিনি সত্যজিৎ রায়। তাঁকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। কারণ, তিনি ভারতীয় সিনেমার কান্ডারী। ভারতের সিনেমাও যে বিদেশের মাটিতে ছক্কা হাঁকাতে পারে এটা প্রথম যেন রায় সাহেব পেরেছিলেন।
তিনি বলতেন, সমস্ত অভিনেতাই অভিনেতা। বয়সে ছোট বলে তাঁকে চাইল্ড আর্টিস্ট কিংবা বিশেষ অতিথি চরিত্রে এসব কিছু হয় না। তিনি অভিনয় করছেন। তাঁর কাজ কিংবা সৃষ্টি নিয়ে নানা চর্চা - তর্জা হলেও পরিচালকের ব্যক্তিগত জীবন কিন্তু সিনেমার থেকে কম ছিল না। বিশেষ করে তাঁর স্ত্রী বিজয়া রায় ( Bijoya Ray ) নানা উপলব্ধির কথাই তাঁর কলমে বর্ণনা করে গিয়েছেন।
বিজয়া রায়ের আমাদের কথায় সত্যজিৎ জায়া সেসময়ের নানা পরিস্থিতি উল্লেখ করেন। বয়সে ছোট সত্যজিৎ রায়। তারপর আবার নিকট আত্মীয়, তাঁকে বিয়ে করা যায় নাকি? ভাবতেই পারেননি কোনোদিন যে প্রবাদপ্রতিম এই পরিচালক মহাশয়কে বিয়ে করার সৌভাগ্য হবে তাঁর। বিজয়া দেবীর কথায়...
সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। শেষরক্ষা নামক একটি ছবিতে অভিনয় করলেন। তাঁর আগে সন্ধ্যা রিলিজ করল। কিন্তু সেটি ফ্লপ হয়। সারাজীবন বাড়ির লোকের কাছে গলার কাঁটা হয়ে থাকবেন? রায় মহাশয় তাঁকে এও বলেছিলেন, "এসব আজেবাজে ছবিতে অভিনয় করার কোনও মানেই হয় না।"
কিন্তু উপার্জন তো করতেই হবে। বিজয়া দেবীকে সত্যজিৎ রায় আশ্বস্ত করেছিলেন, চাকরিতে যেভাবে ধীরে ধীরে উন্নতি করছেন, মাইনে আরেকটু বাড়লেই তিনি সাহায্য করবেন টাকা দিয়ে। কিন্তু সেই টাকা নিতে রাজি হননি বিজয়া দেবী। বলেছিলেন, তোমার টাকা আমি নিয়ে যাব কেন? বিয়ে হলে না হয় হত। কিন্তু, যখন তা হওয়ার নয়, তখন বৃথা তর্ক করে লাভ নেই। এতে অবশ্য রেগেছিলেন সত্যজিৎ রায়। তাঁর টাকা কি বিজয়ার নয়?
কিন্তু বিয়েটা হয়েছিল। সুকুমার রায়ের স্ত্রীকে তাঁদের বিয়ের জন্য রাজি করিয়েছিলেন নসুবাবু। সুপ্রভা দেবী অবশেষে সবটাই মেনে নিয়েছিলেন। ছেলের বউকে স-যতনে পড়িয়ে দিলেন শাখা এবং নোয়া। তাদের প্রেমের গল্প হার মানাবে রোমহর্ষক কাহিনীকেও। আজ সকলের প্রিয় মানিকবাবুর জন্মদিন। সেই জন্মদিনেও বিজয়া রায় এবং তাঁর মধ্যে চলত উপহারের আদান প্রদান। মিসেস রায় উল্লেখ করেছিলেন, কখনও সিম্ফনির ফার্স্ট মুভমেন্ট দিতেন। কখনও সত্যজিৎ পুরো আস্ত একটা সিম্ফনি কিনে আনতেন।