Sonar Kella 50 Year: ১৯৭১ সালে প্রকাশিত গোয়েন্দা গল্প, বড় পর্দায় ছবি হিসেবে মুক্তি পেল। ফেলুদাকে প্রথম বার বড় পর্দায় দেখা গেল। তাক লাগালেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। নিয়ে এলেন সত্যজিৎ রায় ( Satyajit Roy )। শুধু ফেলুদাই নন সঙ্গে তোপসে, লালমোহন বাবু, সিধু জ্যাঠা আর ছোট্ট মুকুল। এক জাতিস্মরের পূর্ব জন্মের কথা মনে পড়ে যাওয়ায় তার উপর কী কী বিপদ এসে পড়ে এ ছবির গল্পে সেই কথাই উঠে আসে। আর ফেলু মিত্তির? তার তীক্ষ্ণ মগজাস্ত্রের সাহায্যে কি সুন্দর ভাবে সেই রহস্যের সমাধান করে ফেলেন।
ছবিটি জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে অনেক গুলো ক্ষেত্রে পুরষ্কৃত হয়। এর মধ্যে সেরা বাংলা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, চিত্রনাট্য, সহ সেরা শিশু শিল্পী, সিনেমাটোগ্রাফি উল্লেখযোগ্য। দেশের বাইরেও তেহরানে সেরা শিশু এবং কিশোরদের ছবি হিসেবে পুরস্কার পায়। ছবির শুটিং কলকাতার ইন্দ্রপুরী স্টুডিও, জয়সলমীর এর পাশাপাশি ভবানীপুরের পদ্মপুকুর অঞ্চলেও হয়েছিল। যেটা আজও মুকুলের পাড়া বলেই পরিচিত।
মাঝে পঞ্চাশটা বছর কেটে গেছে। ছবির পঞ্চাশ বছর পর মুকুল আবার ফিরল তার নিজের পাড়ায়। দ্যা ড্রিমার্স মিউজিক পিআর এজেন্সির ক্যালেন্ডারের এবছরের বিষয় "সোনার কেল্লা ৫০"। মূল ভাবনায় সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত চন্দ। নিবেদনে শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স। বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই দ্যা ড্রিমার্স ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে আসছে। এবছর সোনার কেল্লার পঞ্চাশ বছর উপল়ক্ষ্যে ক্যালেন্ডার প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সন্দীপ রায় ( Sandip Ray ), তোপসে সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় ( Siddharth Chatterjee ), মুকুল কুশল চক্রবর্তী ( Kushal Chakraborty )ভবানীপুরের পদ্মপুকুরের এমন একটা বাড়ি যা সোনার কেল্লায় মুকুলের পাড়ারই একটা বাড়ি হিসেবে দেখানো হয়েছিল সেখানেই হাজির ছিলেন তাঁরা।
ক্যালেন্ডারে বিশিষ্ট সত্যজিৎ বিষয়ক সংগ্রাহক দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় এর সংগ্রহ থেকে থাকছে ছবির শুটিং এর ছবি, লবি কার্ড, বুকলেট, সত্যজিৎ রায়ের নিজের হাতে আঁকা ছবির টাইটেল কার্ড, ফেলুদার ঘরের নক্সা, আর সিনেমার পোস্টার, বইয়ের প্রচ্ছদ সহ আরো অনেক কিছু।
সুদীপ্ত চন্দ বললেন, "সোনার কেল্লা এমন একটা ছবি যা সব বয়সের দর্শকের প্রিয়। একটা মনমুগ্ধকর মেকিং। ছবির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে মুকুল তাঁর পুরনো পাড়ায় ফিরল। এমন একটা মুহূর্ত যা চিরস্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে। আমাদের সংস্থার ক্যালেন্ডার প্রকাশ উপলক্ষে এমন এক আয়োজন আশা করি সকলের ভালো লাগবে।"