বামপন্থী মনোভাবাপন্ন অভিনেত্রী তৃণমূলে (TMC) যোগ দিলেন কীভাবে? দলবদলের হাওয়ায় তিনিও কি মাতলেন? বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সভায় সবুজ পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার পরই সায়নী ঘোষের (Sayani Ghosh) উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন অনেকে সমালোচনা-কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। এমনকী সহকর্মী শ্রীলেখা মিত্র খোদ সায়নীকে আক্রমণ করে মন্তব্য করেন যে, "তুইও বিক্রি হয়ে গেলি? খেলতে নেমে গেলি?" মুখ্যমন্ত্রীকে কটুক্তি করা তাঁর পুরনো ভিডিও পোস্ট করেও অনেকে সায়নীকে খোরাক করেন। তবে এত ট্রোলড সত্ত্বেও অভিনেত্রী কিন্তু একটা প্রত্যুত্তরও করেননি। বরং খানিক পরোক্ষভাবেই রবি ঠাকুরের গানের আশ্রয় নিয়ে জবাব দিয়েছেন সেসব সমালোচকদের।
তবে তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তাঁর সাফ কথা, তাঁর খারাপ সময়ে দিদি তাঁর পাশে ছিলেন। তাই তিনিও থাকবেন। তাঁর কথায়, "এই মুহূর্তে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই আছে। তাই তাঁর হাত ধরলাম।"
উল্লেখ্য, সায়নী ঘোষ ছিলেন বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী। একাধিকবার তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং মন্তব্যেও তা প্রকাশ পেয়েছে। তবে সায়নী ঘোষের ক্ষেত্রে সেই মতাদর্শ এখন অতীত। কারণ, বুধবারই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে দীক্ষিত হয়ে নাম লিখিয়েছেন সবুজ শিবিরে। বুধবার সাহাগঞ্জের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সবুজ পতাকা আন্দোলনের পরই তিনি বাংলার মা-বোনদের সুরক্ষিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এমনকী, বাংলার মানুষদের সঙ্গে নিয়েই সত্য়-শিব-সুন্দর পশ্চিমবঙ্গ গড়ে তোলার অঙ্গীকারবদ্ধ হন। এরপর থেকেই অভিনেত্রীকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে যায় ট্রোল, মিমের বন্যা।
উল্লেখ্য, ‘ভবিষ্যতের ভূত’ সিনেমা প্রদর্শন নিয়ে যখন টলিউডের বিদ্বজ্জনেরা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন, সেই দলে শামিল ছিলেন সায়নী ঘোষও। ‘তৎকালীন’ বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী অভিনেত্রীও তীব্র সমালোচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই তিনিই কিনা এবার ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখালেন! হতবাক নেটিজেনরা। আর সেই থেকেই অভিনেত্রীকে কটাক্ষের সূত্রপাত। তবে সরাসরি সেসবের জবাব না দিয়ে অভিনেত্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান শেয়ার করেছেন- "তোমাতে বিশ্বময়ীর, তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা। ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা…।"