নায়ক নায়িকা হোটেল রুমে কী করছে? চার ঘণ্টা লাগে? বাংলাদেশের প্রযোজকের তরফে সায়ন্তিকা এবং জায়েদের বিরুদ্ধে ঠিক এমন কিছুই শোনা গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, প্রযোজক এমনও জানিয়েছিলেন, যে সায়ন্তিকা রাগের চোটে পরিচালককে মারতে পর্যন্ত বলেছিলেন।
Advertisment
দুই বাংলায় এখন চূড়ান্ত শোরগোল। কারণ? সায়ন্তিকা এবং জায়েদের শুটিং ফ্লোরে নাকি প্রেমের গন্ধ পেয়েছেন সকলে। দুজনে একসঙ্গে হোটেলে হেঁটে বেড়িয়েছেন। সায়ন্তিকা এর জন্য সকালের নাস্তা পর্যন্ত ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। এসবের কারণেই নাকি মনোমালিন্য। সায়ন্তিকা শুটিংয়ের মাঝপথে নাকি ফিরে এসেছেন। কিছুদিন ধরেই এই শোরগোল। তারই মধ্যে, প্রযোজক জানিয়েছিলেন, চার ঘণ্টা হোটেল রুমে একসঙ্গে ছিলেন জায়েদ এবং সায়ন্তিকা। কী করছিলেন দুজনে? জামা বদলাতে এতক্ষণ সময় লাগে?
অভিনেত্রীর চারিত্রিক দিকে আঙ্গুল উঠতেই তিনি চূড়ান্ত বিরক্ত। দুজনের উদ্দেশ্যে কু কীর্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে সায়ন্তিকার বক্তব্য, দুজন মানুষ হোটেল রুমে বসে থাকতেই পারে। কে আমায় নিয়ে কী ধরনের ঘৃণ্য মন্তব্য করবে এটা ভাবার বিষয়। কোনও মানুষকে সাফাই দেওয়ার প্রয়োজন আমি মনে করি না।
সায়ন্তিকা এবং জায়েদ খানকে নিয়ে তুমুল অভিযোগ এনেছেন প্রযোজক মনিরুল ইসলাম? সায়ন্তিকা টাকা নিয়েও পোশাক আনেন নি। চূড়ান্ত অব্যবস্থা সৃষ্টি করেছেন।
তাঁর কথায়, "আমি অপেশাদার নই! উনি আসলে নিজের কথার ঠিক রাখতে পারেন না। চুক্তির বাইরে গিয়ে, ওকে আমরা পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছিলাম, বলেছিলেন পোশাক নিয়ে আসবেন। সেটাও আনেন নি। এখান থেকে ওর পোশাকের ব্যবস্থা করা হলে সেগুলো ফেরত দিয়ে যায়নি। এগুলো কী? এমনকি সায়ন্তিকার চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রযোজক। বলেন... ওরা ড্রেস চেঞ্জ করতে গিয়েছিল, জায়েদ এবং সায়ন্তিকা। হোটেল থেকে জামা চেঞ্জ করে ফিরল প্রায় চার ঘণ্টা পর। কী করছিল এতক্ষণ? এগুলো আমি বলতে চাই নি। কিন্তু, আজ বলতে বাধ্য হলাম।"
যদিও, সমস্ত ঘটনা হাওয়ায় উড়িয়েছেন জায়েদ খান। তিনি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে সাফ জানিয়েছেন, যে সায়ন্তিকা তাঁর খুব কাছের নায়িকা। কোনরকম গন্ডগোল তাঁদের মধ্যে হয়নি। নাহলে, এয়ারপোর্ট অবধি এগিয়ে দিয়ে আসতাম না।