জায়েদ খান এবং সায়ন্তিকা বিতর্ক তুঙ্গে। নায়িকা বাংলাদেশ থেকে ফিরে আসতেই খবর ছড়িয়ে পড়ে ঝড়ের গতিতে। অভিনেত্রীর সঙ্গে শুটিং এর অব্যবস্থা নিয়ে গলা চড়িয়েছেন জায়েদ নিজেও।
Advertisment
প্রযোজক এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন দুজনেই। টাকা পয়সা নিয়েও নানা শোরগোল বিনোদন দুনিয়ায়। সায়ন্তিকার জামা কাপড়ের টাকা, হোটেল ভাড়া সবকিছুই নাকি জায়েদ খান মিটিয়েছেন! যদিও, এই বিষয়ে প্রযোজকের কথায়, সবকিছুই মিথ্যে। সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় এর পোশাক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিনেত্রী সেই ক্ষেত্রেও গন্ডগোল পাকিয়েছেন। এমনকি জায়েদ খানের পারিশ্রমিকের মধ্যেই তাঁর পোশাকের টাকা দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু, এবার প্রযোজক মারাত্মক ক্ষেপেছেন। কারণ? অভিনেত্রীর শুধু অপেশাদারী আচরণ নয় বরং তাঁর মিথ্যে আর নিতে পারছেন না পরিচালক - প্রযোজক। সেকারণেই এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এর আগে জানিয়েছিলেন সায়ন্তিকা ক্ষমা না চাইলে কাজ শুরু করবেন না। তবে, এবার তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নিজের সিদ্ধান্ত। জায়েদ খানের অনুরোধে সিনেমার কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু, সায়ন্তিকা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন।
উল্লেখ্য, প্রযোজক জানিয়েছেন এবার তিনি কোনোভাবেই সায়ন্তিকাকে ক্ষমা করবেন না। শুটিং এর নামে মিথ্যাচার সহ্য করতে পারছেন না তিনি। তাই তো বললেন, "আমি এই সব মিথ্যাচার আর সহ্য করতে পারছি না। এই ছবির কাজ আর করব না। যদিও বা করি, সায়ন্তিকাকে বাদ দিয়ে দেশীয় শিল্পী নিয়ে নতুন করে এই ছবির কাজ শুরু করব।"
প্রসঙ্গত, সায়ন্তিকা বলেছিলেন যে টেকনিক্যাল সমস্যার কারণেই তিনি শুটিং করতে রাজি নন। সেই সংক্রান্ত সব সমস্যা নাকি তিনি প্রযোজককে জানিয়েছিলেন। তাও, লাভ হয় নি। কিন্তু জায়েদ আবার অন্য সুর গাইছেন। কী বলছেন নায়ক?
বাংলাদেশের তারকা হয়েও তিনি প্রযোজকের কাণ্ডে স্তম্ভিত। সোজা বললেন, এত অব্যবস্থা শুটিং জুড়ে। যে নায়িকার হোটেল ভাড়া থেকে কস্টিউম সবকিছুই আমি দিয়েছি। ১ লাখ ৩০ হাজারের ওপর বিল এসেছিল। প্রযোজক ৯৭,০০০ দিয়ে চলে গিয়েছেন। বাকি টাকা আমি দিয়েছি। কিন্তু! প্রযোজক জানিয়েছেন, ৬ই সেপ্টেম্বর অবধি আমার সিনেমার শুটিং চলেছে। সেই টাকা বুঝিয়ে আমি ঢাকা এসেছি। তারপরও অনেকে এক দুদিন ছিল হোটেলে। সেই টাকা আমি কেন দেব?