তার একেকটি ছবির একেকটি আইকনিক ডায়লগ যেন দর্শকদের কাছে একেকটা উপদেশ। কখনও 'প্যার দোস্তি হ্যায়' তো কখনও 'টিম বানানে কেলিয়ে তাকত নেহি, নিয়ত চাহিয়ে'। তবে মাঝেমধ্যেই উপদেশ দিতেও জুড়ি মেলা ভার শাহরুখের। ফ্যানদের ফ্যান বলতেও তিনি নারাজ, সাধারণত কাছের মানুষ হিসেবে সম্বোধন করেন।
Advertisment
একসময়ের চূড়ান্ত স্ট্রাগল, মুম্বাইয়ের মেরিন ড্রাইভের বেঞ্চে শুয়ে থাকা থেকে দিনের পর দিন প্রযোজক-পরিচালকের রিজেকশন, 'শাহরুখ' হওয়া একেবারেই সহজ ছিল না। নিজেকে প্রতিদিন লড়াই করতে শিখিয়েছেন। মোটিভেট করেছেন। তাঁর সঙ্গে এমন কিছু উপদেশ নিজেও মেনে চলতেন, যা আপনার পক্ষেও লাভদায়ক হতে পারে। যেমন?
প্রথম, শাহরুখের কথায় জীবনে কাজই আসল। কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়েই সব সম্ভব। ধর্ম একটাই আর সেটা হল কর্ম।
দ্বিতীয়, যখন হতাশা গ্রাস করবে আপনাকে তখন হাসুন। আর আমার ছবি দেখে যখন হাসতে হাসতে পাগল হয়ে যাবেন তখন কেঁদে ফেলাও জরুরি।
Advertisment
তৃতীয়, এমন একটা সময় আসবে যখন আপনি একা বোধ করবেন। তখন আপনার সৃষ্টি আর সৃজনশীলতা হবে আপনার সঙ্গী।
দশম, মনুষত্ব বিক্রি করে রোজগার করা একদম ভুল। টাকার পেছনে দৌড়ানো খারাপ নয়। কিন্তু ঠিক বেঠিক সবকিছুই মাথায় রাখবেন নইলে বিপদ।
এমনিতেও সবসময় শাহরুখ নিজের বক্তব্য দিয়ে মানুষের মন জয় করে নেন। তাঁর উপস্থিতি মানেই দর্শকদের এক অজানা উচ্ছাস। আগেও জানিয়েছিলেন, আমি এখানে লড়াই করতে আসিনি, এসেছি রাজত্ব করতে।
১৯৯২ সালে দিওয়ানা দিয়ে শুরু। তারপর আর খুব একটা ফিরে তাকাতে হয়নি। সিনে দুনিয়ায় ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন বাদশা। পৃথিবীর প্রতিটা কোণায় তাঁকে নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই। বলিউড মানেই শাহরুখ। আবারও বছর চারেক পর ফিরছেন নিজের চেনা ছন্দে, পাঠান আসছে জানুয়ারিতে।