গতকালের ঝটিতি ইডেনে সফর শাহরুখের 'কিং'মাফিক হলনা। মাঠে ঢোকার আগেই নাইটবাহিনীর হয়ে গলা ফাটানো ও চিয়ার আপ করার জন্য টুইট করেন তিনি। কিন্তু এদিন ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই হতাশ মুখে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন শাহরুখ। প্রথম ম্যাচে বিরাট কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে চার উইকেটে হারিয়েছিল নাইট বাহিনী, সে দিন মেয়ে সুহানার সঙ্গে বেশ খোস মেজাজেই মাঠ ছেড়েছিলেন টিম কর্তা। কিন্ত গত বুধবার ম্যাচের গতিবিধি দেখে গম্ভীর মুখে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তাহলে কি ম্যাচ হারলে দলের পাশে থাকতে নারাজ নাইট কর্তা?
রাত তখন অনেকটাই, শাহরুখ ভক্তরা তাঁর নাম ধরে হাঁক ডাক দিলেও তেমন উচ্ছাস পূর্ণ সাড়া মেলেনি তাঁর থেকে। তার কিছুক্ষণ পরই তিনি টুইট করে জানান খেলা মানেই তাতে হার জিত থাকবেই, কিন্তু এদিন দলের স্পিরিটে খামতি ছিল ,তার জন্য ভক্তদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু তখনও ম্যাচ চলেছে ইডেনে, হেরে যাওয়ার আভাস পাওয়া গেলেও ১৭ ওভারে টানটান উত্তেজনা বজায় ছিল মাঠে।
অন্যদিকে ম্যাচের শেষ দুই ওভার বাকী থাকতেই বুধবার ক্রিকেটের নন্দনকাননে মুখ পুড়ল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। মোটা অঙ্কের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নিল মুম্বই। রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এদিন ১০২ রানে হারিয়ে দিল দীনেশ কার্তিকের কলকাতাকে। এই হারের ধাক্কা সামলে কলকাতার জন্য ফিরে আসাটা রীতিমতো কঠিন হবে, সে কথা বলাই বাহুল্য ।
এদিন টস জিতে রোহিতদের ব্যাট করতে পাঠান দীনেশ। সূর্যকুমার যাদব (৩৬), রোহিত শর্মা (৩৬), ঈশান কিষান (৬২) ও বেন কাটিংয়ের(২৪) ব্যাটে ভর করে কলকাতা নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ২১০ তোলে। জবাবে কলকাতার ইনিংস ১১ বল বাকি থাকতেই ১০৮ রানে গুটিয়ে যায়। স্কোরবোর্ড বলে দিচ্ছে যে, কলকাতার কোনও ব্যাটসম্যানই দাঁড়াতে পারেননি এদিন। ক্রিস লিন ও নীতীশ রানা ২১ রান করে করেন। বাকিরা আসেন আর ডাগআউটে ফিরে যান।