Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

"সময়ের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে ছিলেন শকুন্তলা দেবী": যিশু সেনগুপ্ত

উনি প্র্যাঙ্ক স্টার! সব সময় হাসি মজার মধ্যেই থাকতে ভালোবাসেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নিজেকে স্ক্রিনে দেখতে মোটে ভালবাসেন না যিশু সেনগুপ্ত। এদিকে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় কুড়ি বছর কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। শুধুমাত্র যখন ডাবিং করতে হয় তখনই একমাত্র নিজেকে স্ক্রিনে দেখতে অভ্যস্ত তিনি। তাহলে কিভাবে নিজের সঠিক-ভুল যাচাই করেন? তার স্পষ্ট কথায়, "পরিবার বন্ধু-বান্ধব ও দর্শকের মন্তব্য থেকেই আমি আমার অভিনয়ের দক্ষতা যাচাই করি"।

Advertisment

টেলিভিশনের পর্দা থেকে বড় পর্দায় অভিনয়ের পর বলিউড ও দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করতে শুরু করেন যিশু সেনগুপ্ত। ৩ বছর আগে মুম্বই চলে যান অভিনেতা। তখন তার হাতে ছিল তিনটি হিন্দি চলচ্চিত্রের সঙ্গে শকুন্তলা দেবীর বায়োপিক।

সামনেই শকুন্তলা দেবীর মুক্তি। অনলাইন ছবি মুক্তি থেকে শুরু করে পরিতোষ ব্যানার্জীর চরিত্র নিয়ে indianexpress.com এর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় ধরা দিলেন যিশু।

কোথায় কোন মাধ্যমে ছবি মুক্তি পাচ্ছে, অভিনেতা হিসেবে এতে আপনার কি কিছু যায় আসে?

একজন অভিনেতা হিসেবে আমি সবসময় চাই আমার ছবি মুক্তি হোক বড় পর্দায়। আমরা সব সময় চাই নিজেদের দেখতে জীবনের চেয়ে বড় করে। তবে এই ছবি মুক্তি পাচ্ছে প্রায় দু'শো শহরে। যা আমার কাছে অন্যতম বড় দিক। তবে অনলাইনে মুক্তি পাওয়ার ভালো-মন্দ দিক দুটি বর্তমান। পার্থক্য করা সম্ভব নয়। তাই আমার মনে হয় নিজেকে স্রোতে ভাসিয়ে দেওয়াই যথাযথ।

গুলাবো সিতাবো মুক্তির সময় আয়ুষ্মান খুরানা বলেছিলেন তার ডিজিটাল প্রিমিয়ার সম্পর্কে নিশ্চিত হতে কিছু সময় লেগেছে। আপনি কি তৈরি ছিলেন শকুন্তলা দেবীর ডিজিটাল মুক্তির বিষয়ে?

খবরটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি এটার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলাম। বিক্রম মালোত্রা আমাকে ফোন করে বলেন যে আমরা অ্যামাজন প্রাইমে এই ছবি মুক্তি করার পরিকল্পনা করছি। আমরা জানি না কবে এই লকডাউন উঠবে। কবে সিনেমা হলে আগের মত মানুষ যেতে পারবে। তাই অনলাইনে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হ্যাঁ, এটা অবশ্য দারুন ব্যাপার মানুষ যখন খুশি ইচ্ছা ছবিটি দেখতে পারবে।

পরিতোষ ব্যানার্জির চরিত্রটি করে আপনার কেমন লেগেছে?

এটি খুব সুন্দর একটি গল্প। একটি মহিলার জীবনের আকর্ষণীয় যাত্রাপথ। আমরা জানিনা সে কেমন ছিল আমরা জানিনা তার স্বামী এবং মেয়ের সাথে তার সম্পর্ক ঠিক কি ছিল। ছবিতে অভিনয় করার পরও কেন আমি এই কথা বলছি তা ছবিটি দেখার পরই আপনারা বুঝতে পারবেন। মানুষ শকুন্তলা দেবীর মানবিক দিকটা জানতে চলেছে।

শকুন্তলা দেবী ও পরিতোষের আন্ডারস্ট্যান্ডিং সম্পর্ক ছিল। আপনি কিভাবে পরিতোষ চরিত্রটার মধ্যে নিজেকে নিয়োজিত করলেন?

যদি আমাকে পরিতোষ এবং তার জীবনে শকুন্তলা দেবীর সঙ্গে সমীকরণ নিয়ে কথা বলতে হয় তাহলে অনেক কিছু বলতে হবে। তা একেবারেই সম্ভব নয়। আমি বলতে চাই না কারণ গল্পটাই হল পরিতোষ ও শকুন্তলা দেবীর গল্প। এর আগে আমি একটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছি, যেখানে আমি বাইসেক্সুয়াল চরিত্রে অভিনয় করেছি সেটি ঋতুপর্ণ ঘোষের চিত্রাঙ্গদা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। আমি একটা কথাই বলব, প্রত্যেকেরই তাদের নিজেদের পছন্দ নিয়ে বেরিয়ে আসা উচিত একটি স্বাভাবিক ঘটনা এটি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত নয়। ঋতুদাকে খুব কাছ থেকে চিনতাম আর আমি জানি এটা মানুষের জন্য বেদনাদায়ক আমাদের সবাইকে এটা নিয়ে কথা বলতে হবে এটা নিষিদ্ধ হতে পারে না।

বিদ্যা বালানের সঙ্গে কাজ করতে কেমন লাগলো?

উনি প্র্যাঙ্ক স্টার! সব সময় হাসি মজার মধ্যেই থাকতে ভালোবাসেন। সেটে মাত্র দুজন বাঙালি ছিলাম। এক আমি, অন্যজন অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর। বিদ্যা খুব ভালোভাবে বাংলায় কথা বলতে পারেন। অধিকাংশ সময় তো আমরা বাংলাতে কথা বলেছি। পরিচালক আনু মেননের সামনে আমরা দুজন বাংলায় খুব গম্ভীরভাবে কথা বলতাম। ও ভাবত আমরা তাঁকে নিয়ে কথা বলছি। আদতে তা হতো না। বিদ্যা আমাকে বলত চলো অনুকে প্র্যাঙ্ক করি।

বিদ্যার সঙ্গে কাজ করার যে কী মজার তা আমি বর্ণনা করতে পারব না। সে খুব ভালো মানুষ। এর আগেও আমি কাজ করেছি বিদ্যা বালানের সঙ্গে। তবে এতটা কথাবার্তা কোনদিন হয়নি। তাই প্রথম দিন যখন শকুন্তলা দেবী সেটে পৌঁছেছি, তখন সামান্য লজ্জা লজ্জা লাগছিল। কিন্তু যখন বিদ্যা কথা বলতে শুরু করলেন তখন মনে হলো আমরা যেন গত ১০০ বছর ধরে দুজন দুজনকে চিনি। আমরা প্রায় দু'শটি ছবি একসাথে করে ফেলেছি। অজান্তেই আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম শুটিং এর শেষ দিনে। বুঝতেই পারলাম না কিভাবে দিনগুলো কেটে গেল।

যখন আপনি একজন বাস্তব জীবনের মানুষের চরিত্রে অভিনয় করছেন তখন পর্দা একটি কাল্পনিক চরিত্র নিয়ে আসার চেয়ে কি দায়িত্ববোধ থেকে অনেক বেশি?

একদম। আমার কাছে স্ক্রিপ্ট বাইবেল কারণ পরিচালক ফ্লোরে যাওয়ার আগে ছবিটি দেখে ফেলেছেন। সে জানে চরিত্র থেকে ঠিক কী চায়। আমার যা জানা দরকার তা হলো সেই ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য। কীভাবে কথা বলতেন, কীভাবে হাঁটতেন ইত্যাদি।

পরিতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে আমরা তাঁকে দেখিনি। এটা আমার জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট ছিল কারণ আমি চরিত্রটাতে নিজে যা করতে চেয়েছিলাম তাই করতে পারতাম। লন্ডনে শকুন্তলা দেবীর মেয়ে অনুপমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার সময় অনু আর বিদ্যার কাছ থেকে আমি অনেক কিছু জানতে পারি। সেই আচরণ সম্পর্কে জানার পর আমি নিজের কিছু শিল্প সত্ত্বা যোগ করে পরিতোষের চরিত্রে অভিনয় করার চেষ্টা করেছি।

Read the full interview in English 

jisshu sengupta
Advertisment