'শঙ্কর মুদি'তে বিকল্প রাজনীতির কথা বলেছি, কিন্তু সিনেমা বন্ধ হলে কাঁদব না: অনিকেত চট্টোপাধ্যায়
পরিচালকের কথায়, ''এই যে ভুলভাল চুটকি দেওয়া গুলোকে রাজনৈতিক ছবি বলে, প্রত্যেকের বোঝা উচিৎ রাজনৈতিক ছবি মানে রাজনৈতিক তত্ত্ব বা সিন্ধান্তকে নিয়ে একটা সিনেমা তৈরি করা''।
অবশেষে দোকান খুলছেন শঙ্কর মুদি। চারিদিকের উন্নয়ন, বানিজ্যিক প্রগতি ও মল কালচারের যুগে একা ধুঁকছে পাড়ার মুদির দোকান, টেলর। এই অসম লড়াইয়ের ছবিই সিনেমায় তুলে ধারার চেষ্টা করেছেন পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়। আর এ জন্য খুব ভেবেচিন্তেই নাম ভূমিকায় পরিচালক-অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে রেখেছেন অনিকেত। আগামী ১৫ মার্চ বড়পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে 'শঙ্কর মুদি'।
Advertisment
কিন্তু এতদিন পর কেন মুক্তি পাচ্ছে ছবি? পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় বললেন, ''একটা ছবি রিলিজ করতে অনেক খরচ। প্রযোজক মাঝখানে অর্থ সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এখন সমস্যা মিটেছে, তাই মুক্তি পাচ্ছে''। 'শঙ্কর মুদি'র ট্রেলারে লেখা রয়েছে 'একটি রাজনৈতিক ছবি', পরিচালকের কথায়, ''ভুলভাল চুটকি দেওয়াগুলোকে রাজনৈতিক ছবি বলে চালানো হচ্ছে। কিন্তু, প্রত্যেকের বোঝা উচিৎ যে রাজনৈতিক ছবি মানে রাজনৈতিক তত্ত্ব বা সিন্ধান্ত নিয়ে তৈরি করা সিনেমা। কারও বিরুদ্ধে চারটে চুটকি লিখে দেওয়াকে রাজনৈতিক ছবি বলে আমি মনে করি না''।
তিনি আরও বলেন, "এটা রাজনৈতিক ছবি। কারণ, আমাদের দেশে উন্নয়নের নামে কতগুলো মল, ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। আমার বক্তব্য, সেটা উন্নয়ন নয়। কারও জমি চলে যাচ্ছে, ছোট্ট মুদির দোকান যে চালাচ্ছিল সে বড় দোকানের সঙ্গে কীভাবে পেরে উঠবে? তারা তো সুখে-দুঃখে আমার পাশে দাঁড়ায়। এই সামাজিক সম্পর্কের বুনোটটা নষ্ট হয়ে যাবে''।
কিছুদিন আগেই মুক্তি পাওয়ার পর হল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে অনীক দত্তের 'ভবিষ্যতের ভূত'। সমসাময়িক রাজনীতি প্রসঙ্গে নানা ব্যঙ্গ করা হয়েছে সেই ছবিতে, এমনটাই খবর। কিন্তু, 'শঙ্কর মুদি' তো অনেক বেশি শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলবে, সেক্ষেত্রে অনুরূপ পরিণতির আশঙ্কা তো থেকেই যায়? অনিকেতের জবাব, ''আশঙ্কা মানে, আমি জানি কোন কোন জায়গা থেকে কী ধরণের আঘাত আসতে পারে। আমি সেই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতও। তবে, আমার ছবিটা দেখাতে দেওয়া হচ্ছে না গো - এরকম কান্না কাঁদব না। একটা রাজনৈতিক পরিবেশে বিকল্প রাজনীতির কথা বলছি, সুতরাং জানি, কী হতে পারে, সেভাবেই লড়ব''!