Shantanu Moitra: এই জন্য জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল? এই কাজ করবেন বলে? সরকারকে কী এমন করতে হল যে তিনি শেষে এই কথা বলতে বাধ্য হলেন? বাঙালি এই সুরকার নিজের কাজের সঙ্গে সঙ্গে বিচারক হিসেবেও বেশ জনপ্রিয়। তাহলে? কেন হঠাৎ এই কথা বলতে বাধ্য হলেন তিনি? তখন সরকারের সঙ্গে ছিলেন এই বাংলার অন্যতম খ্যাতনামা শিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তীও।
গতকাল সমাজ মাধ্যমে এক ভিডিও আপলোড করেছেন সুরকার। যিনি এতবছর ধরে বলিউড এবং বাংলায় নানা ধরনের মেলোডি উপহার দিয়েছেন তাঁকে এহেন কথা বলতে দেখেই বেশিরভাগ একটু হলেও চমকে উঠবেন। প্রসঙ্গে শান্তনু মৈত্র। তিনি saregamapa এর বিচারক হিসেবেও দারুণ জনপ্রিয়। এবং তাঁকেই এবার এমন কাজ করতে দেখা গেল যা সুরকার নিজেই জানিয়েছেন। আসলে, একটি গানের রেকর্ডিং চলাকালীন ঘটেছে এই ঘটনা। স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন কৌশিকী চক্রবর্তীও। কিন্তু, সুরকার হিসেবে তাঁর কাছে গান বানানো যতটাই সোজা, মানুষকে কী খাওয়াবেন সেটা বড় সমস্যা।
শান্তনু মৈত্র নিজেই হাসতে হাসতে বললেন, আমি নাকি একজন কম্পজার? ডাল খিচুড়ি না বিরিয়ানি, এই তর্কের জেরেই সময় পার! আর সরকার তাঁদের মধ্যে বসে চিড়ে চ্যাপ্টা! কে কী খাবে, সেটাই তিনি বুঝে উঠতে পারলেন না। গান গাইছেন তো কি? খাওয়া বন্ধ থাকবে তাই বলে? এমনিও বাঙালিরা খাদ্যরসিক। যেকোনও ক্ষেত্রেই পেটপুজো ইস মাস্ট। এক্ষেত্রেও তাই। শান্তনু যেন পাগল হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। সরকারকে বলতে শোনা গেল, "আমার কম্পোজার হওয়ার কথা ছিল। যখন আমাকে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা জানত না আমি এসব করব। আমায় বসে বসে সকলের খাবারের খোঁজে নিতে হবে। আমি খাবার অর্ডার করে যাচ্ছি সকলের জন্য।"
একের পর এক অর্ডার আসতেই চলেছে। আর শান্তনু সেগুলো কার্ট এ অ্যাড করে চলেছেন। সুরকার সেই ভিডিও শেয়ার করে বলছেন, "মিউজিক বানানো সহজ। কিন্তু, আমরা কি কি খাব? সেটা ঠিক করা খুব মুশকিল। এভাবেই রিহার্সাল চলে। হাজারটা কনফিউশন খাবার নিয়ে।" এদিকে, তাঁদের এই ভিডিও দেখে বাঙালিদের নিয়ে আরেক কম্পোজার স্বানন্দ কিরকিরে বলছেন, "স্টুডিওতে থাকা বাঙালিদের কাছে খাবারের অপেক্ষার মাঝে তারা যেটা করে সেটা হল গান।"