বাড়ির বউ কেমন হওয়া উচিত? তাঁর কী কী করা উচিত? এই বিষয়গুলো আসলে ঠিক কে করে দেন? অন্তত, নিজেদের পারিবারিক বিষয় নিয়ে একেবারেই বড়াই করেননি অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর ( Sharmila Tagore )। দীর্ঘ ১৩ বছর পর যখন সইফ তাঁর প্রথম বিয়ে ভাঙলেন তখন দীর্ঘনিশ্বাস ফেলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
Advertisment
ক্রিকেট তারকা এবং নবাব মনসুর আলী খানের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বরাবরই জমিদারি প্রসঙ্গে, রাজ পরিবার নিয়ে অবগত ছিলেন তিনি। ছেলের প্রথম বিয়ে ভাঙার পর, ভেবেছিলেন নাতি নাতনীরা দূরে চলে যাবে। সারা ( Sara ali Khan ) এবং ইব্রাহিমকে নিয়ে বেশ দুঃখে ছিলেন তারা। অন্তত, পতৌদি সাহেবের একেবারেই পছন্দ হয়নি বিষয়টি। কিন্তু, যখন করিনা এলেন তখন যেন বেশ নিজের মতো করেই তাঁকে সবেতে জুড়ে নিয়েছিলেন। যেমন..?
শর্মিলা নিজেও লিভ ইন করতেন টাইগারের সঙ্গে। কিন্তু, তখনকার দিনে সেসব লোকসমাজে কিংবা পরিবারের বড়দের সামনে বলার জো ছিল না। অমৃতার থেকে করিনাকে ( Kareena Kapoor Khan ) এখানেই আলাদা মনে হয়েছিল তাঁর। শর্মিলা বলেন..
"দিল্লিতে আমরা একদিন সবাই বসে আছি। সকলে আমাদের বয়সের ছিলেন প্রায়। সেখানে, করিনা ছিল। এবং ও কতটা সাবলীল ভাবে, সহজ করে বিষয়টা দেখেছিল, না বললেই নয়। আমিও লিভ ইন করতাম টাইগারের সঙ্গে। কিন্তু, বলতে পারার সাহস ছিল না। করিনা, কীভাবে বলল জানো? ও সোজা বলতে শুরু করল... হ্যাঁ, আমি যখন ঘুম থেকে উঠি তখন সইফ আমায় এটা বলে, সেটা বলে। এর থেকে আমি বুঝে গেলাম যে ওরা একসঙ্গে থাকে। এটা খুব ইউনিক লেগেছিল আমার।
পতৌদি খান্দানের বউ হচ্ছেন, সেখানে তিনি কিছু নিয়ম জানবেন না? কিন্তু শর্মিলা তাঁর ওপর কিছুই চাপিয়ে দেননি। বরং, তাঁকে বোঝার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁকে একসঙ্গে নিয়েছিলেন যাতে ওর একা না মনে হয়। অভিনেত্রী আরও বলেন...
"মেয়েরা বৌমা হতে পারে না। আর শাশুড়িও মা হতে পারে না। কারণ, একজন মা তাঁর মেয়েকে বড় হতে দেখে। তাঁর ভাল খারাপ, দোষ গুণ, মেজাজ সবটা জানে। আর ছেলের বউ পরিণত বয়সে বিয়ে হয়ে আসে। তাঁর মেজাজ বোঝা সম্ভব না। তাই, আমার মনে হয় একজন শাশুড়ির বৌমার বন্ধু হওয়া ভাল।"