বিতর্ক তৈরি করতে সিদ্ধহস্ত তিনি। বুধবার ফের একবার তাঁর প্রকাশ্য মন্তব্যের জেরে ঝড় তুললেন অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহা। বললেন, "এতদিনে যা যা করেছি তাতেও মিটু কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হই নি। খুব ভাগ্যবান আমি।"
"প্রত্যেক সফল মানুষের পিছনে একজন মহিলা থাকেন" এই জনপ্রিয় প্রবাদকে বিকৃত করে অভিনেতা মিটু সময়কালের দিকে আঙুল তুলে বলেন, "একজন সফল পুরুষের পতনের পেছনেও একজন মহিলা থাকেন।"
প্রতিষ্ঠিত লেখক ধ্রুব সোমানির 'এ টাচ অফ ইভিল' বইটির মুক্তি উপলক্ষে বক্তব্য রাখছিলেন শত্রুঘ্ন। "এখন হ্যাশট্যাগ মিটুর সময়, কোনও লজ্জা বা দ্বিধা না করেই বলছি, একজন সফল পুরুষের পতনের পিছনে একজন মহিলাই থাকেন। সমস্যার পিছনে এবং সফল পুরুষের কুখ্যাতির জন্য, এছাড়া এই আন্দোলনেও আমি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একজন নারীই হাতই দেখেছি," শত্রুঘ্ন সিনহার এমন উক্তিতে হেসে ওঠেন উপস্থিত দর্শকগণ।
মিটুর ঢেউ থেকে গা বাঁচাতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন তিনি। তবে এই উক্তি করার সময় স্টেজে তাঁর পাশে বসে স্ত্রী পুনম যে অস্বস্তি বোধ করছিলেন, তা স্পষ্ট। শত্রুঘ্ন বলেন, "সম্প্রতি আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলে সম্বোধন করি, কারণ আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে আমি যা করেছি তা সত্ত্বেও, আমার নামটি হ্যাশট্যাগ মিটু আন্দোলনের তালিকায় নথিভুক্ত হয়নি। আমি আমার স্ত্রীর কথা শুনি এবং প্রায়শই তাঁকে ঢাল হিসাবে রাখি আমার সঙ্গে। যাতে আমি দেখাতে পারি আমি সুখী বিবাহিত, আমার জীবন খুব সুখের।"
স্ত্রীর প্রশংসা করে অভিনেতা বলেন, "ও হলো দেবী, এবং আমার সবকিছু। তাই কেউ যদি ভেবে থাকেন আমার নামে মিটু অভিযোগ দায়ের করবেন, দয়া করে করবেন না।"
প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সাংবাদিক শত্রুঘ্ন সিনহাকে বলেন, একজন ব্যক্তি মিটু আন্দোলনকে নিয়ে তামাশা তখনই করতে পারেন, যখন শক্তিশালী সফল পুরুষের পাশে এক নারীর উপস্থিতি থাকে। জবাবে অভিনেতা নিজেকে খানিকটা আড়াল করতে বলেন, "এই উক্তি আমি মজার ছলেই করেছি। আমি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বহু মহিলাকে তাঁদের ব্যক্তিগত সমস্যা তুলে ধরার জন্য উৎসাহ দিয়ে থাকি। আমার উক্তিটি অন্যভাবে নেবেন না।
"আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ এবং একইসঙ্গে নারীদের প্রশংসা করি, দেরী হলেও এগিয়ে আসছেন তাঁরা। তাঁদের সাহসকে আমি অভিবাদন জানাই। এর বাইরে আমি এই মুহূর্তে আর কোনো বক্তব্য রাখতে চাই না, কারণ এটি একটি বই মুক্তির অনুষ্ঠান এবং আমাদের সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়। আমি যা বলেছি এবং সে পরিপ্রেক্ষিতে আপনি যা বলেছেন তা আমি পূর্ণ সমর্থন করি।"
Read the full story in English