ভারতবর্ষের প্রতিটা ঘরে একবার উঁকি দিলেই দেখা যাবে, 'শেরশাহ' দেখতে আর কেউ বাকি নেই। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি মহল এবং অন্যান্যরা সর্বত্রই প্রশংসার ছড়াছড়ি। সিদ্ধার্থ মালহোত্রা এবং কিয়ারা আডবানি অভিনীত কার্গিল হিরো 'বিক্রম বাত্রার' বায়োপিক শুধু বড় পর্দার নয় গোটা দেশের গর্ব।
অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পেয়েছে প্রায় সপ্তাহ খানেক হল, তারপরেও লোকমুখে এর চর্চার শেষ নেই। তবে এবার বিষয়টি একটু অন্যরকম, এ শুধু প্রশংসা নয় নিতান্তই গর্বের বিষয়। বিক্রম বাত্রার বায়োপিক 'শেরশাহ' দেখে আপ্লুত সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে। তিনি ১৯৯৯-এর কার্গিল যুদ্ধের এরকম অসম্ভব সুন্দর চিত্রায়ন দেখে আবেগতাড়িত।
সিনেমার সকল কলাকুশলীদের উদ্দেশ্যে অভিনন্দন জানিয়ে এক চিঠিতে তিনি জানান, কার্গিল যুদ্ধের বাস্তবসম্মত দৃশ্য এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পিরিট-ডি- কর্পস চিত্রিত করার জন্য দলের সকলের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন তিনি। অতীতের অন্যান্য যুদ্ধের মতো এই সিনেমাও অনেক মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে বলেই জানান তিনি। পরবর্তীতে সহ-প্রযোজক সাব্বির বক্সওয়ালা ইনস্টাগ্রামে এই চিঠি অনুরাগীদের সামনে তুলে ধরেন। ক্যাপশনে লেখেন, "আমাদের সেনাপ্রধান জেনারেল নারাভানের কাছ থেকে 'শেরশাহ'র জন্য এত উচ্চ প্রশংসা পেয়ে আমি বিনীত এবং আনন্দিত। আমাদের এত বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছি। বিক্রম বাত্রা দীর্ঘজীবী হোন। ভারতীয় সেনা দীর্ঘজীবী হোক!"
কার্গিল হিরো বিক্রমের জীবনী এবং সিনেমায় চিত্রিত শেষ দৃশ্যের বেশ কিছু অংশ আপামর সিনেপ্রেমীদের মনে জায়গা যেমন করেছে তেমনই সিদ্ধার্থের অভিনয় স্ক্রিনের এক জায়গায় ছাড়েনি চরিত্রকে বাস্তবায়িত করতে। বিষ্ণু বর্ধনের পরিচালনায় 'শেরশাহ' শুধু ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার দেশের প্রতি কর্তব্য নয়, ব্যক্তিগত জীবনের অংশও তুলে ধরা হয়েছে। কিয়ারা অভিনয় করেছেন তার বাগদত্তা ডিম্পল চিমার চরিত্রে।
বড়পর্দায় মুক্তির চিন্তা ভাবনা করা হলেও করোনা আবহে সিনেমা হলগুলিতে ৫০ শতাংশ লোকের প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। সেই কারণেই ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিলিজ করে 'শেরশাহ'। বিক্রম বাত্রার বীরত্বের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং দেশের প্রতি নিজের প্রাণ উৎসর্গ বিফলে যায়নি সেদিন। এমন এক হিরোর গল্প সত্যিই রত্নের সমান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন