সব সাধ মিটিয়ে দিয়েছে 'কণ্ঠ', বললেন শিবপ্রসাদ

"বলতে পারেন আমাদের ছবির মধ্যে একটা রিয়েল মাদ্রিদ ব্যাপার আছে। অসম্ভব মিশ্রণ। পাওলি খেলছে, জয়া খেলছে, এদিকে অনিন্দ্য খেলছে। প্রত্যেকে দিকপাল।"

"বলতে পারেন আমাদের ছবির মধ্যে একটা রিয়েল মাদ্রিদ ব্যাপার আছে। অসম্ভব মিশ্রণ। পাওলি খেলছে, জয়া খেলছে, এদিকে অনিন্দ্য খেলছে। প্রত্যেকে দিকপাল।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
shiboprosad

ফোটো- ফেসবুক সৌজন্যে।

এই ছবি আশা জোগানোর, বাঁচার মতো করে বাঁচতে শেখানোর ছবি, এমনটাই দাবি পরিচালকদ্বয়ের। কোনও বড় ঘটনাই জীবন থামিয়ে দিতে পারে না। 'ক্ণ্ঠ' চলে গেলে মানুষের শরীরের ভাষাই শব্দ হয়ে ওঠে। এই জীবন যুদ্ধের কথাই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানালেন পরিচালক-অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।

Advertisment

'কণ্ঠ' ছবিতে তো আপনি অভিনেতা...

যেকোনও অভিনেতার জীবনে এমন চরিত্র পাওয়ার সুযোগ একবারই আসে। আর তো কোনও আক্ষেপ থাকাই উচিৎ নয়। এরপর যদি কখনও অভিনয় না করতে পারি, কুছ পরোয়া নেহি। বলে না, সব সাধ মিটিয়ে দিয়েছে? এই চরিত্রটা পেয়ে আমার এই অভিজ্ঞতাটাই হয়েছে।

Advertisment

ঋষি কাপুর ট্রেলার দেখে টুইট করেছেন। আপনাকে আলাদা করে কিছু জানিয়েছেন?

খুবই আনন্দের বিষয়। ঋষিজি 'পোস্ত' দেখেছিলেন। দেখবার পর ঋষি ও নিতুজির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। অসুস্থ হয়ে বিদেশে গেলেন, তখনও যোগাযোগ ছিল। এক্কেবারে ক্যাজুয়ালিই ট্রেলারের লিঙ্কটা ফরওয়ার্ড করেছিলাম। হঠাৎ জানালেন, "আমার যেটা মনে হয়েছে, লিখেছি। টুইটটা তুমি দেখ।" উত্তরে বলেছিলাম, "মাই ডে ইজ মেড স্যার!"

আরও পড়ুন: সত্যজিতের জীবনে ইন্দিরা গান্ধী ও মারির ভূমিকা ঠিক কী?

চরিত্রটার প্রস্তুতি কীভাবে নিলেন?

একটা সুবিধে ছিল। যেহেতু সংলাপ লিখেছি ছবিটার, ফলে অনেকের সঙ্গে দেখা করতে হয়েছে সংলাপ পাওয়ার জন্য। শুরুর থেকে গল্পটার রিসার্চটা আমিই করেছি। সমস্তটার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলাম। আমি একা নই, সবাইকে এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। জয়াকে তো আমার থেকেও ভাল ইসোফেগাল (খাদ্যনলী থেকে উদ্ভুত) ভয়েসে কথা বলতে হয়েছে।

আপনি কার্ফু জারি করেছেন যে অফিস চত্বরে কেউ সিগারেট খেতে পারবে না?

একদম! শুটিংয়ের সময় লিখিত নিয়েছিলাম। কাউকে খেতেও দেব না। ধরা পড়লে খারাপ কথা শুনতে হবে (হাসি)। যা তা বলব! লজ্জা করে না? সব ধরনের অপমান করব যাতে কোনও দিন না ধরে। ইন্ডাস্ট্রিতে তো বন্ধুরা মিশছে কম। যত ফোনে কথা বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়া যায়।

'সবাই চুপ' যেদিন মুক্তি পেয়েছে...

(কথা কেটে) সবাই চুপ (পরিচিত হাসি)। আমাদের প্রথম ছবি 'ইচ্ছে' থেকেই গান লিড করে ছবির অনেকটা। এই গানটার মধ্যে দিয়ে তিন মিনিটে একটা যুগ দেখিয়েছি। শঙ্খবাবুর (কবি শঙ্খ ঘোষ) একটা কবিতা থেকে গানটাতে আসা। দীপাংশু, প্রসেন, সাহানা, অনুপম প্রত্যেকে আসাধারণ।

আপনি বাজারটা ভালই করেন...

আরে না না (পাশ থেকে ছবির অভিনেত্রী পাওলি দাম বলে বসলেন, "কোন মাছটা ভাল, কোন সবজিটা নেব")। এটা বলতে পারেন, আমাদের ছবির মধ্যে একটা রিয়েল মাদ্রিদ ব্যাপার আছে। অসম্ভব মিশ্রণ। পাওলি খেলছে, জয়া খেলছে, এদিকে অনিন্দ্য খেলছে। প্রত্যেকে দিকপাল। সবাইকে নিয়ে কাজ করা আমার অবস্থা ভাবুন (হাসি)।

paoli dam Shiboprosad Mukherjee