পুজোয় এবার বাংলা ছবির লক্ষীলাভ! চার চারটে ছবিই নিদারুণ সাফল্য পেয়েছে। তবে, বাংলা ছবির সাসপেন্স জিইয়ে রাখতে রক্তবীজের জুড়ি মেলা ভার। শেষ পর্যন্ত পরিচালক দর্শককে আসনে বসিয়ে রাখতে পেরেছেন।
Advertisment
আর, এখানেই তো পরিচালকের জিতে যাওয়া। ছবি সুপারহিট তো, এর থেকে বড় আনন্দ আর কিছুতে আছে? নিশ্চই না। সবথেকে বড় কথা, শিবু নন্দিতার এবছর প্রথম পুজো রিলিজ। তাই লড়াইয়ের থেকে বেশি আশা ছিল। এবং দর্শকদের ভালবাসায় সেই আশায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু, এই ছবি হিট করাতে পরিচালক শিবপ্রসাদকে পড়তে হয়েছিল মিমি চক্রবর্তীর বন্দুকের সামনেও!
ছবিতে সংযুক্তার মাথা গরমের জেরে যে কী হতে পারে তাঁর নমুনা আগেই মিলেছে। কিন্তু, বাস্তবেও শুটিং চলাকালীন মিমির বন্দুক এবং রাগের মুখে পড়তে হয়েছিল পরিচালককে। সেই ভিডিওই এখন প্রকাশ্যে। রীতিমতো বন্দুক তাক করে পরিচালককে শেষ ইচ্ছে কী জানতে চেয়েছিলেন মিমি। অর্থাৎ?
সিকোয়েন্স শুট চলাকালীন, মিমি ওরফে সংযুক্তা সোজা বন্দুক তাক করলেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর বুকে। সঙ্গে সঙ্গে হাত তুলে সারেন্ডার করে দিলেন তিনি। তখনই মিমি জানতে চাইলেন, "বলুন আপনার শেষ ইচ্ছে কী?" এবারও শিবু চুপ। অবশেষে মিমি নিজেই বাতলে দিলেন সেই ইচ্ছে। শিবুর উদ্দেশ্যে বললেন, "তোমার শেষ ইচ্ছা আর কিই বা হতে পারে? সিনেমা সুপারহিট হয়ে যাক এটাই হয়তো।" ব্যাস! ওমনি ছবির নায়িকার সঙ্গে হ্যাঁ তে হ্যাঁ মেলালেন তিনি। বললেন "একদম, এটাই।"
এদিকে, মজার ছলে মিমি যা করলেন? একেই পরিচালক মশাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের আলাপ। মিমি সোজা বললেন, "ছবি হিট করতে গেলে তো তোমায় বেচেঁ থাকতে হবে"। যদিও, একথা অজানা নয় মিমির সংযুক্তা হয়ে ওঠার পথে সবথেকে আশাবাদী ছিলেন শিবু। জানিয়েছিলেন, এই চরিত্রটা মিমি ছাড়া আর কেউ করতেই পারতেন না।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ছবির সাফল্য উপলক্ষে শহরে বসেছিল চাঁদের হাট। ৫ কোটি পার ২০ দিনে। অভিনেতা অভিনেত্রীদের অনেকেই হাজির হয়েছিলেন সেখানে। অনুপস্থিত ছিলেন মিমি। কারণ, পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন।