পুজোয় এবার চারটি বাংলা ছবি। তবে, সবার উর্ধ্বে যদি সাসপেন্স কেউ ধরে রাখতে পারে তবে সেটি রক্তবীজ। শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ছবি, মন কেড়ে নিয়েছে দর্শকদের। বাঙালি পুজোয় যে হলমুখী হবেন এই আশা রেখেছিলেন দুই পরিচালক। পুজোয় একদম পুজোর ছবি, নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তাঁরা।
Advertisment
যেখানে আর তিনটে বাংলা ছবির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার বিষয় ছিল, সেখানে শিবু এবং নন্দিতার ভাবনা ছিল এখানেই, যে পুজোয় প্রথমবারের মত রিলিজ। সুতরাং লড়াই পরে হবে। আগে তো বাংলা ছবির উদযাপন। ১৪ দিন পার, 'রক্তবীজ' বাংলার দর্শকদের নিদারুণ বিনোদন দিয়েছে। চরিত্রের নিরিখে হোক অথবা সাসপেন্স জিইয়ে রাখার নিরিখে দুই পরিচালক কামাল করেছেন। শেষ মুহূর্ত অবধি কাকে সন্দেহ করা উচিত আর কাকে না এটা বলা সম্ভব ছিল না। '
বাঙালি হলে গেলেন, রক্তবীজ দেখলেন, সেই সংখ্যা অগুনতি! দু দিন আগেও সেই সংখ্যা ছিল এক লক্ষের ঘরে। আর এখন...?
'দশম অবতার'-কে জোর টেক্কা দিতে প্রস্তুত 'রক্তবীজ'। হাইজাম্প না হলেও স্লো অ্যান্ড স্টেডি খেলে ফেলেছে এই ছবি। গুটি গুটি পায়ে বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। কোটির ঘরে, লক্ষ্মী লাভ অব্যাহত এই ছবির। ১৪ দিনে, এই ছবি আয় করেছে ৪কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা! যেখানে সবসময় বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ানো নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সেখানে, এই বিপুল ব্যবসায় তারিফ না করলেই নয়। কতজন দেখলেন এই ছবি?
দর্শকদের যে শিবু-নন্দিতার হুট করে চালিয়ে দেওয়া কভার ড্রাইভ বেশ ভালই লেগেছে সেকথা বলা যায়। কম করে, ২.২৬ লক্ষ মানুষ হলে পৌছে গিয়েছেন। দর্শকদের সিনেমা নিয়ে উন্মাদনাও দেখা গিয়েছে বেশ। পুজোয় ফার্স্ট রিলিজ কিন্তু ছক্কা হাঁকিয়েছেন দুই পরিচালক। তার সঙ্গে উপরি পাওনা তারকাদের উপস্থিতি এবং ভিক্টর বন্দোপাধ্যায় এর অভিনয়। একদিকে, যেখানে বলিউডে শুধুই শাহরুখ মন্ত্র আওড়ানো হচ্ছে সেখানে বাংলার বুকে বাংলা ছবির জয়জয়কার দারুণ চোখে পড়ার মতো।