লকডাউন বন্দি জীবনের একটা অঙ্গ হয়ে উঠেছে 'ভিডিওকল'। দূরকে কাছে করার এটাই এখন একমাত্র মাধ্যম। 'যাকে যায় না পাওয়া' সেই ভালোবাসার হাওয়া গায়ে মাখতে কথা দিয়ে, চোখের দেখা দেখতে এছাড়াও বিকল্প নেই। কিন্তু শিলাদিত্য মৌলিকের শর্ট ফিল্ম 'আই ক্যান্ডি'র টুইস্টটা এখানেই। ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সোহিনী সরকার। ভিডিও কলের যা উদ্দেশ্যে তা যেন বদলে যায় এই দুজনের ভালোবাসার গল্পে।
Advertisment
গল্পের শুরু দুজন অন্ধ মানুষের গল্প দিয়ে। ঠিকই ধরেছেন গল্পের দুই মুখ্য চরিত্রেরা কেউই দেখতে পান না। কিন্তু ভিডিও চ্যাটেই কথা বলেন। এমনভাবেই বলেন যেন অপর জনের বাচনভঙ্গি থেকে দৃশ্যপট সবটাই দেখতে পাচ্ছেন। একটি দৃশ্যে যেমন সোহিনী বলে ওঠেন প্রান্তিক কবে থেকে এই একই কালো টি-শার্ট পরে রয়েছেন। এখানেই জিতেছেন পরিচালক। ভালোবাসা যে কেবল চোখের দেখা নয়, মনেরও সেটাই ফুটিয়ে তুলেছেন গল্পে। চোখে না দেখলেও আসলে অপরজনের সবটা জানলে আর চোখের দেখার প্রয়োজন হয়তো ফুরায়।
এই গল্পে দুই চরিত্ররা লকডাউনে আটকা পড়ে নিজেদের এই একাকীত্ব গল্পে গল্পে তুলে ধরেন একে অপরের কাছে। কিন্তু মেয়েটি চায় তাঁর ভালোবাসাকে একবার ছুঁয়ে দেখতে। বাঁধ সেধেছে লকডাউন। গল্পের প্রতিটি ছত্র দেখায় এই কাপলরা কিন্তু তাঁদের দৃষ্টিহীনতা নিয়ে কোনও খারাপ লাগাকে প্রশয় দেননি। বরং হেসেছেন প্রতিবেশিদের চিন্তাভাবনা নিয়ে।
আসলে অন্য গল্পের মতো 'আই ক্যান্ডি'ও একই ধারার ছবি হয়ে উঠতে পারত যদি না সেখানে এই অন্ধত্বের টুইস্ট না থাকত। আর সেটাই গল্পের ক্যান্ডিত্ব থুরি মিষ্টত্বকে স্বাদে আরও বাড়িয়ে তুলেছে, আই সুদিংও বলা চলে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন