গতকাল বাবা সিদ্দিকীর প্রয়াণে রাতের বেলায় বলিউডের অনেকেই গিয়েছিলেন লীলাবতী হাসপতালে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন এই নেতাকে গুলি করে খুন করা হয়। যেখানে, একজন নেতার কোনও নিরাপত্তা নেই, সেখানে সাধারণ মানুষ এই ঘটনায় আতঙ্কিত।
গতকাল রাতে এই ভয়ঙ্কর গুলিবর্ষণের পরেই লীলাবতী হাসপতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং তাঁর থেকেও বড় কথা, সেখানে ট্রিটমেন্ট চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই তারকাদের অনেকে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন। যার মধ্যে সঞ্জয় দত্ত এবং শিল্পা শেঠী এমনকি রাজ কুন্দ্রা উল্লেখযোগ্য।
আর এখানেই ঘটল ঘটনা। অর্থাৎ? শিল্পা একদম ভেঙে পড়েছেন বাবা সিদ্দিকীর মৃত্যুতে। তাঁকে কাঁদতে দেখা গেল প্রকাশ্যে। কোনরকমে নিজেকে আটকালেন তিনি। এখানেই, শেষ না। বরং যেভাবে নিজেকে সামলালেন, তাতে করে অনেকেরই হৃদয় মোচড় দেওয়ার কথা। কিন্তু এখানেই শুরু হল ট্রোল। কারণ, একথা অনেকেরই জানা যে বলিউডের অনেকের বন্ধুত্বের পেছনে বাবা সিদ্দিকীর হাত রয়েছে।
কিন্তু কথা শুনতে হল কেন তাঁকে? কিছুদিন আগেই ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট রতন টাটার মৃত্যুতে দেখা যায়নি কোনও তারকাকে। একমাত্র আমির খানকে দেখা গিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ তুলেও জনগণ তাঁকে প্রশ্ন করলেন, যে ঠিক কিভাবে বলিউড নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে এসব করেন? তাদের এও বলতে শোনা গেল আপনারা রতন টাটার সময় কোথায় ছিলেন? আবার কেউ জানতে চাইলেন, আমির খানের সঙ্গে আপনিও যেতে পারতেন রতন টাটার প্রয়াণে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে।
উল্লেখ্য, আজ পুর্ন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তাঁর মরদেহ পোস্টমর্টেমের পর নিজের বাড়িতে পৌঁছেছে।