এ যেন ঘর ঘর কি কাহানি।অতিমারী, লকডাউন, গৃহবন্দি দশা, কীভাবে দাম্পত্য এবং সাংসারিক জীবনকে প্রভাবিত করছে? তাঁর ক্ষুদ্র সংস্করন উঠে আসছে স্বল্প দৈর্ঘের ছবি ম্যাঁও-তে। এই ছবির মূল চরিত্র মোমো আর টিনটিন। কেন্দ্রীয় এই দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন টলিউডের পরিচিত মুখ মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় (টিনটিন) এবং অনিন্দিতা ভদ্র (মোমো)। থিয়েটারে পরিচিত মুখ অনিন্দিতার এই প্রথম সেলুলয়েডে কাজ।
Advertisment
বিপরীতধর্মী এই দুই চরিত্রের (মোমো এবং টিনটিন) ভালবাসা, সংসার জীবন এবং সম্পর্কের টানাপোড়েন ঘিরে ছবির চিত্রনাট্য।যার দায়িত্বে ছোট পর্দা থেকে কাজ করে উঠে আসা শৌভিক মিত্র। শৌভিক এই ছবির পরিচালকও বটে।
ছবিতে ঘাত-প্রতিঘাত সামলে মোমো আর টিনটিনের দাম্পত্য টিকিয়ে রাখতে লকডাউন পরবর্তী সময়ে অ্যানিভার্সারি ট্রিপ অনেকটা মন ভালো করে দেয়। কারণ এই ছবির অনেকটা শ্যুটিং রাঙামাটির দেশ বীরভূম। রবি ঠাকুরের আপন দেশ বোলপুরের দারোন্দায় ছবির অধিকাংশ আউটডোর শ্যুটিং। ঘরবন্দি বাংলা, পায়ের তলায় সর্ষে পেলে কী হয় সেটা বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া গেলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে। এই ছবিতেও তাঁর অন্যথা হয়নি। ছবির সঙ্গীত পরিচালনায় নবাগত স্বাগত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নেপথ্যের কণ্ঠশিল্পী সোমেশ্বর চন্দ। প্রযোজনা হাউজ সূত্রে খবর, এঁরা প্রত্যেকেই ছবির জগতে নবাগত।এই ছবিতে অতিথি শিল্পী হিসেবে আছেন, আবির বন্দ্যোপাধ্যায়ও।। অর্থাৎ নতুন মুখ আর স্বল্প বাজেটের মিশেল, এই দুয়ে বাজিমাৎ করতে উদ্যোগী ছবির কলাকুশলীরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে এই ছবির টিনটিন অর্থাৎ মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘স্ব-উদ্যোগে অর্থাৎ আত্মনির্ভরতায় ভর করে এই ছবি নির্মাণ। ঘরবন্দি বোরিং জীবনে একটু বদল আনতে কী করনীয়, সেই ভাবনা থেকে এই ছবির চিত্রনাট্য লেখা। যা পূর্ণ করতে নানাভাবে সাহায্য করেছেন ছবির ক্রিয়েটিভ প্রযোজক সায়ন চৌধুরী এবং কার্যনির্বাহী প্রযোজক অরুণিমা দাস।।‘ জানা গিয়েছে, বং শো প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে স্বল্প বাজেটের, স্বল্পদৈর্ঘের এই ছবি ওটিটিতে মুক্তির অপেক্ষায়।
‘গৃহবন্দি’ দর্শকদের বিনোদন দিতে ছবি ঘিরে কলাকুশলীদের উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। এমনটাই জানান মৈনাক।