Srabanti Chatterjee Tollywood: মানুষের জীবনে কষ্ট আসবে না নিশ্চয়ই হয় না। সারা জীবন একই রকম প্রবাহে জীবন প্রবাহিত হতে পারে না। মানুষের জীবনে যেমন আনন্দ খুশি থাকে, ঠিক তেমনই কষ্ট এবং দুঃখ পর্যন্ত থাকে। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে কারো কারো কিন্তু সাধারণ মানুষদের থেকে খুব একটা আলাদা নন। তাদের জীবনেও খারাপ সময় ভালো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, কিছু ঘটনা ঘটেছে যে কারণে বাবা মায়ের থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন তারা।
বাবা মায়ের থেকে দূরে সরে গিয়ে সত্যি কি কেউ ভালো থাকতে পারে? সংখ্যা বোধহয় খুবই কম। কিন্তু, আসল যে বিষয়টি সেটি হল, বাবা মাকে কষ্ট দিয়ে কেউই ভালো থাকতে পারে না। তারা যতই বকাঝকা করুক কিংবা দুটো কড়া কথা বলুন না কেন, মানুষের জীবনে বাবা মায়ের থেকে ভালো বোধহয় আর কেউ চাইতে পারে না। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় হারে হারে বুঝেছিলেন সেই কথা। তাইতো জি বাংলার সো হ্যাপি প্যারেন্টস ডে তে এসে, বাবা মাকে দুঃখ দেওয়ার পরে তার সঙ্গে ঠিক কি কি হয়েছিল সব স্থানে জানিয়েছিলেন।
শ্রাবন্তী অনেক ছোট থাকতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বাবা-মায়ের অমতে গিয়ে বাড়ি থেকে প্রায় পালিয়ে, তিনি গাঁটছড়া বাঁধেন তাঁর প্রথম স্বামীর সঙ্গে। তার সঙ্গে একটি ছেলেও আছে শ্রাবন্তীর। যদিও বা সেই সম্পর্ক কিংবা অল্প বয়সে করা ভুল তাকে বেশিদিন বয়ে বেড়াতে হয়নি। অভিনেত্রীর প্রথম স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হওয়ার পরে, তারপর আরো দুটো বিয়ে করলে সে সম্পর্ক টেকেনি। কিন্তু হ্যাপি প্যারেন্টসের মঞ্চে এসে শ্রাবন্তী জানিয়েছিলেন যে বাবা মাকে অনেক ছোটবেলায় কষ্ট দিয়েছিলেন, সেই কারণেই তুমি ভালো থাকতে পারেননি।
Bollywood Tragic Story: মাত্র ৩৯ বছরেই প্রাণ যায়, সঞ্চয় ছিল মাত্র ১৩টা…
পাল্টা উত্তর এ তার বাবা বলেন, মানুষ তো কষ্ট ছাড়া কি জীবন হয়। তখন কষ্ট পেয়েছিলাম কিন্তু পরবর্তীকালে হেসেছি। তখন আমার চোখে জল এসেছিল। দুঃখ কষ্ট নিয়েই তো জীবন। এবং আমি যে কষ্ট পেয়েছিলাম সেই প্রসঙ্গে আমি আমার মেয়েকে জানিয়েছিলাম। ও বুঝতে পেরেছিল যে বাবা কষ্ট পেয়েছে মাও কষ্ট পেয়েছে। প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর মা বলেন, আমিও কষ্ট পেয়েছিলাম কিন্তু আমার সন্তান তো। যত পারবো তত বিপদের থেকে তাকে রক্ষা করব। সে ভুল করতে পারে কিন্তু আমি তো ভুল করতে পারি না। অভিমান হয়েছিল বটে। ওর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলাম, ওর সাথে কথা বলতাম না। ওটাই ওর শাস্তি ছিল। বড় হওয়ার পরে তাই ওর শাস্তি ছিল যে ওর সাথে ওর বাবা-মা কথা বলত না।
আর অভিনেত্রী হাসি দিয়েই বুঝিয়ে দিলেন, তিনি কতটা কষ্ট পেয়েছিলেন যখন বাবা মা কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।