'যত সন্ধ্যার যাওয়া মানা, যত রাত্রির অভিসন্ধি...', শ্রেয়া ঘোষাল, গাইলেন, প্রতিবাদ করলেন, সঙ্গে আবারও বুঝিয়ে দিলেন, শিল্পীর প্রতিবাদ একদম অন্যরকম হয় কিন্তু তা জোরালো হয়।
অরিজিৎ সিং এর আর কবে যেমন ঝড় তুলেছিল, ঠিক সেভাবেই এবার শ্রেয়া ঘোষাল নিজের গানের মাধ্যমেই প্রতিবাদ করলেন। তাঁর এই শো হওয়ার কথা ছিল অনেক আগেই। তখন থেকেই শহরে অসুখ, আরজি কর কান্ডের প্রতিবাদে তখন থেকেই রাস্তায় নেমেছিলেন সাধারণ মানুষ। শ্রেয়া তার শো পিছিয়ে দেন। কিন্তু সেদিন যে অনুষ্ঠান করেন তাতে...
শ্রেয়া সাধারণত তাঁর শোয়ের শেষ গান হিসেবে মেরে ঢোলনা গান, কিন্তু এদিন দেখা গেল একদম ভিন্ন চিত্র। তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু কথা বলেন। শহরের যে পরিস্থিতি, সেই নিয়ে তিনি ওয়াকবিহাল এবং আগেও মুখ খুলেছেন এই নিয়ে। তাই তো তিনি বলেন, আমি একটি কিছু তৈরি করে নিয়ে এসেছি, একটা গান। আমি চাই, আপনারা শুনুন।
এদিন, শ্রেয়ার গলায় ছিল আক্ষেপ। গায়িকা বললেন, আমার একটা ছোট্ট অনুরোধ আছে, আপনারা এই গানটা শোনা শেষ হলে কেউ হাততালি দেবেন না। শুধু শুনুন। আরেকটা কথা, প্রয়োজনে আরেকবার গানটা বাজাবেন, কিন্তু হাততালি না। আমার অন্তরের কিছু শব্দ দিয়ে এই গানটা বানানো। আর আমি, উৎসর্গ করলাম এই শহর এবং সবার উদ্দেশ্যে।
"এর পরের গানে কেউ হাততালি দেবেন না। শুধু শুনুন।" গান শেষ হতেই একটা কথাও না বলে সোজা মঞ্চ ছাড়লেন শ্রেয়া ঘোষাল Shreya Ghoshal এমন প্রতিবাদের নজির আগে কখনও দেখেনি শহর কলকাতা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম তখন দর্শকে ছয়লাপ। এতবছর ধরে প্রতিটা কনসার্টেই সর্বশেষ গান হিসেবে 'মেরে ঢোলনা' গেয়ে এসেছেন তিনি। কিন্তু এবার তা হলো না। মেরে ঢোলনা গাওয়া শেষ করে শ্রেয়া বললেন, "এর পরের গানে কেউ হাততালি দেবেন না। শুধু শুনুন।" গান শেষ হতেই একটা কথাও না বলে সোজা মঞ্চ ছাড়লেন শ্রেয়া। সেই সম্পূর্ণ ভিডিওটা রইলো সকলের জন্যে। তিলোত্তমার বুকে প্রতিবাদের স্বরকে তীব্রতর হতে দেখলাম আজ। বেঁচে থাক শ্রেয়া আর ওঁর সঙ্গীত সাধনা। #RGKarProtest #rgkar #concert #livemusic #rgkarincident #rgkarmedicalcollege #RGKarCase #RGKarMedicalCollegeandHospital #rgkarmedicalcollegedoctordeath Video credit: Shovon Mandal/Facebook (এই ভিডিও কপি করা, আমরা শুধু চাই আরজি কর কান্ডের বিচার, সেই উদ্দেশ্যে এই ভিডিও পোস্ট করা হলো, আর কিছুই না)
Posted by Sagar Kotha সাগর কথা on Sunday, October 20, 2024
শ্রেয়া তারপর শুরু করলেন প্রতিবাদের সুর। শিল্পীর প্রতিবাদ বোধহয় জোরালো এমনই হয়। এত সুরের মাঝেও কোথাও যেন দলা পাকানো কষ্ট। তখন গোটা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম স্তব্ধ। সকলে যেন নীরব থেকে যোগদান করলেন সেই প্রতিবাদে। কিন্তু, গান শেষ হলে শ্রেয়া ঘোষাল নিঃশব্দে স্টেজ ছাড়েন।
এর আগে অরিজিৎ যখন আর কবে গেয়েছিলেন, তখন সেই গানকে সঙ্গী করে প্রতিবাদ করেছিলেন বাকিরা। আর শিল্পী এও বলেছিলেন, "যে তাঁর কাছে এটা একটা হৃদয়ের অংশ। এটা শুধু গান না।" শ্রেয়া যেন আবারও সেটা প্রমাণ করলেন।