কথায় বলে চেষ্টা ছাড়া কোনও কিছু সম্ভব নয়। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গেও অসম্ভব টিকে থাকার ইচ্ছে প্রয়োজন। আর ফিল্মি জগতে নিজের পরিচয় বানাতে গেলে জেদ এবং প্রত্যাখ্যান সহ্য করার মত শক্তি দুইই দরকার। অভিনেতা সিদ্ধার্থ মালহোত্রা একেবারেই তার ব্যাতিক্রম নন। তাই যখন সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছলেন তখন কিন্তু পুরনো দিনের কথা ভুলতে পারেননি একেবারেই।
ঠিক কেমন ছিল সিদ্ধার্থের ফিল্মি দুনিয়ার সফর? প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, ব্যক্তিসত্তা হারিয়ে গেলে একেবারেই চলবে না। কোনও বিষয়েই যাত্রাপথ খুব সহজ নয়। ১৪-১৬ বছর আগে মুম্বই এসেছিলেন অনেক স্বপ্ন নিয়ে। উত্থান পতন একেবারেই কম ছিল না। হাজার বার অভিনেতা হিসেবেও অডিশন দিয়েছেন। আবার মডেলিং এর জন্যও প্রচুর চেষ্টা করেছেন। বাড়ি ভাড়া দেওয়ার জন্য কত কী না করেছেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি। একথা কারওর অজানা নয় প্রথমে করণ জোহরের সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবেই কাজ করতেন সিদ্ধার্থ।অবশেষে অনেক সুযোগের পর একদিন নির্বাচিত হন। আর এখন শেরশাহের জন্য যে ভালবাসা পাচ্ছেন সেটি তার প্রচেষ্টা এবং আশির্বাদ স্বরূপ।
শুধুই কী অভিনয় জগৎ? সিদ্ধার্থ বলেন, প্রথম ছবি স্টুডেন্ট অফ দা ইয়ার নিয়েও কম অসুবিধায় পড়েননি তিনি। সাধারণ মানুষ ছাড়া কেউ তারকা হতে পারেন না। তবে তাদের বক্তব্য কিছুকিছু সময় ভীষণ আঘাত করে যায়। নিজেকেই বুঝতে দিতে হয় কতটা কষ্ট পাওয়া উচিত। কিন্তু সবশেষে দর্শকদের উদ্দেশ্যে এমন কিছু করা উচিত যেটি সারাজীবনের জন্য তাদের মনে গেঁথে যাবে। তাঁর জীবনে শেরশাহ একেবারে তাইই। এমন দুর্দান্ত অনুভূতি তিনি আগে কোনওদিন উপলব্ধি করেন নি।
শেরশাহ নিয়ে অনেক বদল দেখেছেন সিদ্ধার্থ। বলেন, প্রযোজক বদলেছে, পরিচালক থেকে লেখক কেউ বাদ নেই, তবে তিনি অটল ছিলেন সিদ্ধান্তে এই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত থাকতেই হবে। এবং তার এই সিদ্ধান্তই আজকে অভূতপূর্ব সাড়া জাগিয়েছে সকলের মধ্যে। দর্শকদের ভালবাসা পেয়ে ভীষণ উচ্ছসিত। এখন লক্ষ্য শুধুই পরবর্তীতে। 'মিশন মজনু' থেকে 'যোদ্ধা', নিত্যনতুন প্লট আর চিত্রনাট্যের খোঁজে ব্যস্ত তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন