Siddharth Shukla: গত বছর লকডাউনে প্রয়াত সহকর্মী তথা বন্ধু প্রত্যুষার পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছিল সিদ্ধার্থ শুক্ল। সাম্প্রতিক এই খবরে সদ্য প্রয়াত এই অভিনেতার মানবিক দিক তাঁর অনুরাগীদের সামনে খুলেছে। কিন্তু অযথা বিতর্ক থেকেও নিজেকে দূরে রাখতে পছন্দ করতেন সিদ্ধার্থ। বালিকা বধূ খ্যাত প্রত্যুষার বাবার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকার সেই ইঙ্গিত দিয়েছে।
মুম্বইয়ের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রয়াত অভিনেত্রীর বাবা শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বালিকা বধূ ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে মেয়ের সঙ্গে ভালই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে সিদ্ধার্থর। কিন্তু প্রত্যুষার মৃত্যুর পর থেকে সিদ্ধার্থ আমাদের বাড়ি আসা শুরু করে। প্রায়ই আমাদের খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে। কিন্তু সেই সময় অনেকে এই সৌজন্যতা অন্য চোখে দেখেছিল। মেয়ের সঙ্গে সিদ্ধার্থের সম্পর্ক নিয়ে গুজব রটিয়েছিল। তারপর থেকে আমাদের বাড়ি আসা বন্ধ করে দেয় সিদ্ধার্থ। তবে হোয়াটসঅ্যাপে খোঁজখবর রাখত।‘ এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য বালিকা বধূর আনন্দী এবং শিবের অনস্ক্রিন সমীকরণ বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।
মেয়ের মতো সিদ্ধার্থের অকালপ্রয়াণও মানতে পারছেন না প্রত্যুষার বাবা। যেভাবে গোটা ভারতীয় বিনোদন জগৎ তাঁর এই মৃত্যুতে এখনও শোকবিহ্বল। ৪০-এ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিভাবান এই অভিনেতার প্রয়াণ তাই মানতে পারছেন না কেউ। এদিকে, আনন্দী আগেই চিরবিদায় নিয়েছেন। এবার চলে গেলেন শিবও। সিদ্ধার্থ শুক্লা আর নেই! এই বিষয়টা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না কাছের মানুষ থেকে প্রিয়জন এবং অনুরাগীরা। হঠাৎ করে সুস্থ একজন মানুষের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া বলিউডে এবং টেলিপাড়ায়।এবার সিদ্ধার্থের মৃত্যুর খবর পেয়ে গভীরভাবে শোকাহত তাঁর প্রথম নায়িকা ‘বালিকা বধূ’র প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন লকডাউনের সময় টাকা দিয়ে ‘আনন্দী’ প্রত্যুষার পরিবারকে সাহায্য করেছিলেন সিদ্ধার্থ শুক্লা
জানালেন, প্রত্যুষার মৃত্যুর পরেও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন সিদ্ধার্থ। এমনকী, গত লকডাউনের সময়ও তাঁদের পরিবারের হাতে জোর করে টাকা তুলে দিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। এতটাই মানবিক ছিলেন তিনি। জানালেন প্রত্যুষার বাবা খোদ।
২০১৬ সালে ‘বালিকা বধূ’ খ্যাত অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায় আত্মহত্যা করেন। কাছের বন্ধুকে হারিয়ে সিদ্ধার্থও সেদিন ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন। প্রত্যুষার বাবা জানান, “মেয়ের মৃত্যুর পর থেকে সিদ্ধার্থ মাঝে মধ্যেই মেসেজ করে খোঁজ নিত। মাঝে মাঝে জিজ্ঞেসও করত কীভাবে সাহায্য করা যায়। গতবছর লকডাউনে একরকম জোর করে কুড়ি হাজার টাকা পাঠিয়েছিল সিদ্ধার্থ।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন