চিরপ্রতিক্ষিত ছবি 'থালাইভি' মুক্তি পেয়েছে সবেমাত্র দুইদিন হল। এর মধ্যেই প্রশংসায় ঘনীভূত চারিদিক। কঙ্গনার সাবলীল এবং দাপুটে অভিনয় দর্শকদের এবং সিনেপ্রেমীদের যে মন ছুঁয়ে গেছে তার বলার অপেক্ষা রাখে না। তারকা মহলের অনেকেই তাঁর অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এমনকি পিছপা হননি অভিনেত্রী তথা উপস্থাপক সিমি গ্রেওয়াল (Simi Garewal)।
তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার চরিত্রে নিজেকে পারদর্শিতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন কঙ্গনা (Kangana Ranaut)। সিনেমা দেখার পরেই এক বেজায় নিদারুণ মন্তব্য করেছেন সিমি গ্রেওয়াল। টুইট করেই মনের অভিব্যক্তি জানিয়েছেন তিনি। বলেন, "যদিও আমি কঙ্গনার মৌলবাদী মন্তব্য সমর্থন করি না, তবে তাঁর অভিনয় প্রতিভা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। 'থালাইভিতে' সে তাঁর মন প্রাণ এবং আত্মা দিয়ে কাজ করেছে"।
যথারীতি, এই মন্তব্যের প্রসঙ্গে সেই টুইট নিয়ে বিরোধিতা এবং বচসার শেষ নেই। কঙ্গনার অনুরাগীরা ক্ষুব্ধ এই বিষয়ে। তাঁদের মন্তব্য, বলিউডের অনেকেই নানান আপত্তিকর কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। উল্লেখ করেছেন, ভাইজান সলমন খান এবং সঞ্জয় দত্তের নাম। তাঁদের সিনেমা যখন মুক্তি পায় এরকম কোনও মন্তব্যের নিদর্শন কেন পাওয়া যায় না? কঙ্গনার প্রসঙ্গেই এই উক্তির অর্থ কী? বিতর্ক উস্কে দিয়েই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন কঙ্গনা স্বয়ং। তিনি বলেছেন, তিনি জাতীয়তাবাদী ।
অনুরাগীদের কেউ কেউ আবার সিমির এই মতামতকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অন্ধভাবে যে কঙ্গনার বিরোধিতা করেন না সেই ব্যাপারে খুশি অভিনেত্রীর ফ্যানরা। সিমি তাঁদের উদ্দেশ্যেই জানান, "আমরা বহুবছর ধরে বন্ধু। দুজনের দৃষ্টিভঙ্গি একেবারেই আলাদা। তার মানে এই নয় আমি ওকে ঘৃণা করি। ভাল মুহূর্ত কাটিয়েছি একসঙ্গে, বাদানুবাদ একেবারেই নেই"। প্রসঙ্গত, বহু বছর আগে জয়ললিতার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন সিমি। স্মৃতি উস্কে দিয়ে বলেন, "জয়াজি চেয়েছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন তাঁর চরিত্রে অভিনয় করুক তবে আজ তিনি থাকলে কঙ্গনার প্রশংসা না করে পারতেন না"।
কঙ্গনা বরাবরই আশাবাদী ছিলেন সিনেমার প্রসঙ্গে। দর্শকরা জানিয়েছেন 'থালাইভি' বছরের সেরা সিনেমা, শুনেই আপ্লুত অভিনেত্রী। অনেকেরই মন্তব্য, পঞ্চম জাতীয় পুরস্কারের জন্য আগাম শুভেচ্ছা। সহজ কথায়, রমরমিয়ে চলছে 'থালাইভি'।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন