ব্যক্তিগত জনসংযোগ আধিকারিক হলেও মোহর ওরফে ঐন্দ্রিলা সেনের কাছে বুম্বা নিজের দাদার থেকে কোনও অংশে কম নয়। দুর্নিবার সাহার সঙ্গে তাঁর গোপন অভিসার প্রথমে ইন্ডাস্ট্রির দাদা-ই বুঝতে পেরেছিলেন। তাই দুর্নিবার-মোহরের যখন চার হাত এক হল বৃহস্পতিবার সন্ধেয়, তখন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় একেবারে কনে-কর্তার মতোই সব দায়িত্ব পালন করলেন।
পরনে ধুতি-পাঞ্জাবি। সমস্ত অতিথিদের হাসিমুখে আপ্যায়ণ থেকে শুরু করে কনে মোহরের পিঁড়ি ধরা, ছাদনাতলায় শঙ্খ বাজানো.. প্রসেনজিৎ যেন প্রকৃতপক্ষেই কনের দাদার কর্তব্য পালন করলেন। হাজির ছিলেন বুম্বার ছেলে মিশুকও। তিনিও বাবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই বিয়ের অতিথি আপ্যায়ণ সারলেন। হাসি-মজায় দক্ষিণ কলকাতার পাঁচতারা হোটেলে গোধূলি লগ্নে এক হল চার হাত। আর দুর্নিবার সাহা ও ঐন্দ্রিলার বিয়েতে প্রসেনজিতের এমন গুরুদায়িত্ব পালন দেখে অভিভূত গোটা টলিউড।
দুর্নিবার-মোহরের বিয়েতে হাজির ছিলেন টবিপাড়ার বহু পরিচিত মুখ। সন্ধে নামতেই জমে উঠল বিবাহ বাসর। উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিতের বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়ও। দেখা গেল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ইশা সাহা, দিতিপ্রিয়া রায়, রণজয় ভট্টাচার্য, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়দেরও। প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা মিশুককে নিয়ে ছবি তুললেন নবদম্পতির সঙ্গে।
<আরও পড়ুন: ‘সিনেমা বানাতে পারে না.. ED’র দরবারে বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ’, বনিকে ভয়ঙ্কর তুলোধনা ঋদ্ধির>
খাওয়ার আয়োজনও এলাহি। ফুচকা, মালাই কাবাব থেকে মাছের হরেক রকমের পদ, পনির, মাটন কষা সঙ্গে হরেক রকমের মিষ্টি। তবে ২ বছরে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসায় দুর্নিবার সাহাকে নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। স্ত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ, তারপর মোহরের সঙ্গে প্রেম.. আর এদিন যখন বিয়ের পিঁড়িতে চার হাত এক হল.. গায়কের জীবনের এই সেকেন্ড ইনিংসকে অনেকেই সোজাভাবে দেখেননি। অতঃপর বিয়ের দিনও ট্রোলের হাত থেকে রক্ষা পেলেন না মোহর-দুর্নিবার।
কেউ বলছেন, দুর্নিবারের এই বিয়েটাও টিকবে না। আবার কারও মন্তব্য, কাউকে কষ্ট দিয়ে কেউ নতুন সুখের জীবন কাটাতে পারে না। তবে নিন্দুকরা যে যাই বলুক.. দুর্নিবার-মোহরের বিয়েতে নজর কাড়ল কর্তা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতি।