শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে নিজের বাসভবনে প্রয়াণ হল তাঁর। বার বার ফুসফুসে সংক্রমন জনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। ভর্তি রাখা হয়েছিল এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডেও। তাঁর চিকিৎসার কারণে তৈরি করা হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ডও। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। শিল্পীর প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত সঙ্গীতমহল ৷ শোকবার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, এর আগেও অগাস্ট মাসে বাধর্ক্যজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দ্বিজেনবাবু। তাঁর সমস্ত রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলছে বলে জানানো হয়েছিল হাসপাতালের তরফে। দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের সূত্রেও জানানো হয়েছিল, চিকিৎসা চলছে তাঁর। এই বর্ষীয়ান শিল্পীর বয়সের কারণেই বেশি সতকর্তা অবলম্বন করা হয়েছিল। একাধিকবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
আধুনিক ও জনপ্রিয় বাংলা গানের এক কিংবদন্তী নাম তিনি। বহু গান গেয়েছেন, শুধু বাংলাতেই নয়, হিন্দিতেও তাঁর সমান জনপ্রিয়তা। এপার বাংলাই নয়, ওপার বাংলাও একবাক্যে চেনে এই শিল্পীকে। ২০১০ সালে পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত করা হয় তাঁকে। ২০১১ সালে অর্জন করেন বঙ্গবিভূষন সম্মান। সলিল চৌধুরির সুরে শিল্পীর কালজয়ী কিছু গান শ্রোতাদের মনে থেকে যাবে চিরকাল। অল ইন্ডিয়া রেডিওর কিংবদন্তি মহালয়ার অনুষ্ঠান ‘মহিষাসুরমর্দিনী’-তে তাঁর কন্ঠের বিখ্যাত গান ‘জাগো দুর্গা’ আজও রোমাঞ্চিত করে শ্রোতাদের।
বিকেল ৪.৩০ থেকে শিল্পীর দেহ শায়িত থাকবে রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গনে। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার জন্য ৭.৩০ টা পর্যন্ত শায়িত থাকবে তাঁর মরদেহ। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এরপর কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।