Singer Death: মৃত্যু বড়ই সাংঘাতিক! মৃত্যু মানুষকে এমন কিছু দেখায়, যা সারাজীবন মানুষ ভেবে কুল পান না। হঠাৎ করেই, সেই মানুষগুলো চলে যান, যাদের যাওয়ার কোনও উপলক্ষ্যই ছিল না। অর্থাৎ? এমন কিছু ঘটনা ইন্ডাস্ট্রির বুকে ঘটে যেগুলি তোলপাড় ফেলে দেয়। সেরকমই এক মৃত্যু হয়েছিল বছর তিনেক আগে। সেই রাত যেন ভোলা যাবে না। হঠাৎ করেই রাত সাড়ে দশটার সময় সব শেষ হয়ে গেল।
এই মানুষটার হঠাৎ মৃত্যু যেন কেউ মেনে নিতে পারলেন না। এই শহরে আসার কথা ছিল তাঁর। লিখছিলেন, কলকাতা আসছি! এলেন, গান গাইলেন, সকলের মনে হিল্লোল তুললেন। কিন্তু চলে যাওয়ার সময় ভাসিয়ে দিলেন সকলকে। চোখের জলে ভাসল গোটা কলকাতা। এমন একজন মানুষের কলকাতায় মৃত্যু হবে, কেউ ভেবেছিল? এই সিটি অফ জয়ে কত শিল্পী এসেছেন, পারফর্ম করেছেন। কিন্তু না! তারপর আর ফেরা হল না এই গায়কের। সারাটা রাত চোখের জলে ভেসেছিল। সেই মানুষটার মৃত্যু সকলকে কাঁপিয়ে দিয়ে গিয়েছিল। মনে আছে সেই দিনটার কথা?
ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল - এই গানটা গেয়েই তিনি শেষ করেছিলেন নিজের পথ চলা। তখন থেকেই অসুস্থতা ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। নজরুল মঞ্চে তখন বাঁধভাঙা মানুষ। ক্যাপাসিটির থেকে বেশি হাজির হয়েছিলেন কেকের গান শুনবেন বলে। খারাপ হয়ে যায় এসি। তারপর থেকেই পরিস্থিতির গন্ডগোল হতে শুরু করে। শরীর খারাপ হতে শুরু করে। এবং এরপর কেকে অসুস্থ বোধ করেন। হোটেলে নিয়ে আসা হলে তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়, অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান তিনি। এবং সেখান থেকে তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি মৃত বলেই ঘোষণা করা হয়।
কেকের মাত্র ৫৩ বছর বয়সে সেই মৃত্যু আজও ভোলেননি বাঙালি। তাঁদের শহরে এসে যে এহেন এক প্রতিভা নিভে যাবে, চলে যাবে না ফেরার দেশে, সেকথা কল্পনাও করতে পারেননি। প্রসঙ্গে, এই শিল্পী নিজের জীবনের সবথেকে সুন্দর কনসার্ট করতে এসেছিলেন বলেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু, সুস্থ অবস্থায় আর ফেরা হল না। কেকে চলে গেলেন। শুধু যাওয়া বললে ভুল হবে, তিনি সকলকে ভীষণ কাঁদালেন। অতিরিক্ত গরম এবং এসি খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে গিয়েই যে তিনি, হার্ট অ্যাটাক করেন এমনটাই সন্দেহ করেন বেশিরভাগ।
প্রসঙ্গে, এই গত ৩১ তারিখ তাঁর মৃত্যুর তিন বছর পূর্ণ হল। কলকাতা কোনোদিন কেকের এই অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি। এমনকি, প্রচুর ভক্তরা সেসময় আলোড়ন তুলেছিলেন ম্যানেজমেণ্ট নিয়েও।