অনুষ্ঠানের দিন সকাল থেকেই অসুস্থ ছিলেন KK। অনুষ্ঠানের মাত্র কয়েক ঘন্টা হাতে থাকতেই হাতে ও কাঁধে ব্যথাও অনুভব করেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছে, কেকে'র ম্যানেজার রীতেশ ভাট। তিনি আরও বলেন, 'সকাল থেকে বেশ দুর্বল এবং শরীরে কিছু সমস্যার কথাও ঘনিষ্ঠ মহলে জানান KK'। সেই অসুস্থ শরীরেই পারফর্ম করতে স্টেজে ওঠেন তিনি। হাতে থাকা ২০টি গানের লিস্ট। আর সেই ঝড় তোলা পারফরমেন্স। হাজার হাজার দর্শকের মাঝে সঙ্গীত পরিবেশন করছেন তিনি। মাঝে মধ্যেই ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ব্যাকস্টেজে সাদা তোয়ালে দিয়ে শরীরের ঘাম মুছে নিচ্ছেন KK। মঞ্চের আলো নিভিয়ে দেওয়ার কথাও বলতে শোনা যায় তাঁকে। ইশারায় এসি'না চলার ব্যাপারেও কিছু বলতে দেখা যায় KK কে। পাশাপাশি চোখে পড়েছে স্টেজে সারি বেঁধে দর্শক দাঁড়িয়ে, চুড়ান্ত অব্যবস্থার বেশ কিছু ভিডিও।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, KK-র বাঁদিকের ধমণীতে ৮০ শতাংশ ব্লকেজ দেখা গেছে। পাশাপাশি অন্যান্য ধমনীতেও ধরা পড়েছে ব্লকেজ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন শো চলাকালীন স্টেজের মধ্যেই গরমে গানের সঙ্গে নাচছিলেন তিনি। এর ফলে অত্যাধিক উত্তেজনার তৈরি হয়। দেহে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় শিল্পীর। অবিলম্বে সিপিআর দিলে শিল্পীকে বাঁচানো যেত বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
গাড়ি করে ফেরার পথেই শিল্পী বার বার বলছিলেন, ”আমার সাংঘাতিক ঠান্ডা লাগছে। গাড়ির এসি বন্ধ করো।” একথা জানিয়েছেন স্বয়ং তাঁর ম্যানেজার রীতেশ ভাট। অথচ প্রকাশ্যে আসা বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গিয়েছে শো চলাকালীন মারাত্মক ঘামছেন কেকে। বারবার তোয়ালেতে মুখ মুছছেন। ছায়াসঙ্গী ম্যানেজার বলেন, গাড়িতে উঠতেই মারাত্মক হাতে-পায়ে ক্র্যাম্প ধরে কেকে-র।
এমন অবস্থা দাঁড়ায় যে গাড়ি থেকে নেমে নিজের পায়ে ভাল করে দাঁড়াতেও পারছিলেন না তিনি। কিন্তু তা-ও হোটেলে লবিতে অপেক্ষা করে থাকা অনুরাগীদের হতাশ করেননি। মাংসপেশিতে টান ধরার জন্য তাঁকে ধরে সোফায় বসানোর চেষ্টা করতেই তিনি পড়ে যান বলে জানিয়েছেন রীতেশ। পরে সেখানে বসে বমিও করে ফেলেন।
আরও পড়ুন : উপচে পড়া ভিড়ে তখন গলদঘর্ম অবস্থা KK’র, ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য কনসার্টের ফটোগ্রাফারের
যদিও ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের কারণেই মৃত্যু হয়েছে কিংবদন্তী এই শিল্পীর। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কেকে-র মুখে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে হোটেলের রুমে মিলেছে বেশ কয়েকটি অ্যান্টাসিডও। কেকে'র মৃত্যু প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা যেটা অনুমান করছেন, অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। অবিলম্বে সিপিআর দিলেও হয়ত বাঁচানো যেত প্রখ্যাত শিল্পীকে।