ওপার বাংলার বিতর্কিত মুখদের তালিকায় যে নামগুলি প্রথম মাথায় আসে তাঁর মধ্যে একটি নোবেল। তার কান্ড কারখানায় সেদেশের মানুষ জেরবার। একে তো, বিয়ের পর বিয়ে ভাঙছে। তারমধ্যে, ক্রমাগতই নেশা এবং মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছেন তিনি। সেই কারণেই তৃতীয় বউ সালসাবিল তাঁকে ছেড়ে চলে আসেন। তবে, শেষ কিছুদিন যা ঘটছে..
তিনি হঠাৎ করেই তাঁর চতুর্থ বিয়ের আপডেট দেন। লাইফস্টাইল ব্লগার ফারজানা আরশির সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেই তিনি বিয়ের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু... তারপর থেকেই গন্ডগোল শুরু। ফারজানা আরশির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে নাদিম আহমেদের। তিনি পদ্মাপাড়ের বেশ জনপ্রিয় ফুড ব্লগার। এবং এই কথা, প্রথম প্রকাশ্যে এনেছিলেন নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল। এখানেই শেষ না!
তিনি আগেও জানিয়েছিলেন, নোবেল নাকি এই মেয়েটিকে তুলে নিয়ে এসেছেন একরকম জোর করেই প্রায়। যদিও, ফারজানা এই বিষয়ে নানা অভিযোগ সবটাই ভুল প্রমাণ করেছেন। গায়কের তুলে আনা চতুর্থ বউ, আপাতত খুলনায় ফিরে গিয়েছেন। এবং তিনি তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেছেন...
আমি খুলনায় রয়েছি। না জেনে, উল্টোপাল্টা খবর রটাবেন না। এমনকি নাদিমের সঙ্গে সবকিছু শেষ করে দিতাম তাহলে কেউ কিছু জানত না? সকলে এতটাই বোকা? নোবেল এই ছবি পোস্ট করলে কতটা ঝামেলা হবে আমি জানতাম না। লাইভ সেশনে এসেই যে সবটা খোলসা করবেন একথাও জানিয়েছিলেন। যদিও, বর্তমানে খবর অন্যরকম।
নোবেলের চর্চিত এবং বিতর্কিত বউ যেই মুহুর্তে খুলনা ফিরে গেলেন সেই সময়ই নোবেল ফিরলেন মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে। একারণেই, তার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় সালসাবিলের। কিন্তু, নোবেল শুধরানোর না। বরং, তিনি আরও এক কান্ড ঘটিয়ে ফেললেন। যদিও, বর্তমানে মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে ফের পৌঁছে গিয়েছেন।
নিজের শেষ ফেসবুক পোস্টে কী লিখেছিলেন আরশি?
নোবেলের সঙ্গে বিয়ে হয়নি না কোনও সম্পর্ক আছে। আমি নিজে মুখে বলছি সালসাবিল আপু নোবেলের স্ত্রী। আমি কিছুই না। যদি, আমার বরের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ করে আমি যেতাম তবে সমস্ত ছবি ডিলিট করে যেতাম। সত্যি বলছি, এক কাপড়ে বেড়িয়েছিলাম। ভেবেছিলাম নোবেলের সঙ্গে দেখা করে চলে আসব। সঙ্গে আমার এক বান্ধবীও ছিল। আপনারা অনেকেই অনেক ব্যাপার জানতেন না। আমি এখনও পর্যন্ত নাদিমের স্ত্রী। প্লিজ, একটু সময় দিন। কয়েকদিন আগেই আমার বরের সঙ্গে ছবি দিলাম, তাহলে দুই দিন পর কী এমন হল? আমায় সবটা তো বলতে দিন।