Sonu Nigam Stage Controversy: সোনু নিগম দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর সঙ্গে কোনরকম পাথর ছোঁড়া এবং বোতল ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেনি। বরং তাঁর স্টেজের উপর ভেপ ছুঁড়ে মারা হয়। এবং তখনই সোনু নিগম জানান, যে এবার যদি এটি বন্ধ না করা হয় তাহলে কিন্তু শো বন্ধ করতে হবে। তারপরেই ছড়িয়ে পড়ে তাঁর সঙ্গে নাকি অভব্য আচরণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকিরা।
কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তিনি এমন কিছু বিষয়ের সঙ্গে তিনি পরিচিত হয়েছেন, যে সম্পর্কে তিনি আগে জানতেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনারেশন Z এর দৌলতে অনেক কিছুই শিখলেন তিনি। তাঁর দিকে ভেপ ছুঁড়ে মারার সঙ্গে সঙ্গে, আরও একটি জিনিষ ছুঁড়ে মারা হল, এবং সেটি সঙ্গে সঙ্গে তিনি ক্যাচ করে বোঝার চেষ্টা করলেন, যে এটা আসলে কী? এতবছর যেটা করেননি, এবার সেটাই করলেন সকলের পাল্লায় পড়ে। সোনুকে দেখা গেল Pookie হতে।
দর্শকমহল থেকে তাঁর কাছে গেল একটি pookie ব্যান্ড। গোলাপি রঙের খরগোশ কানের এই ব্যান্ড হাতে পেয়েই মাথায় পরে নিলেন তিনি। তারপর তাঁকে গান গাইতেও শোনা গেল, 'ক্যা সে ক্যা হো গেয়ে দেখতে দেখতে...', এদিকে তাঁকে এভাবে দেখে আহ্লাদে আটখানা তাঁর দর্শক নিজেও। বয়সে অনেকটাই বড় সোনু, কিন্তু অনুরাগীদের পাল্লায় পড়ে নিজেকে যে জেন Z এর মত আচরণ করলেন। যদিও Pookie অর্থ কী, এটা তিনি বুঝতেন না। তাই তো, মাথায় গোলাপী ব্যান্ড পরে সোজা জিজ্ঞেস করলেন, এই শব্দের অর্থ কী?
এমনকি, যে পোস্টে তিনি বোতল এবং পাথর ছুঁড়ে দেওয়ার ঘটনা অস্বীকার করেছেন, সেখানে তিনি এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন নিজেই। শিল্পী পোস্টে লিখছেন.. "ভেপ ছুঁড়ে দেওয়ার পর, একমাত্র এই পুকি ব্যান্ড উড়ে এসেছিল আমার কাছে। এবং সেটা দেখে আমার একটাই কথা মনে হয়েছে, যে এটা সত্যিই Pookie। এরম কিউট এবং মিষ্টি জিনিস আমি আগে দেখিনি।
উল্লেখ্য, তাঁর এই কনসার্ট দেখতে এসেছিলেন প্রায় ১ লক্ষ লোক। তাঁর মধ্যে একজনের ভিডিও তিনি নিজেই শেয়ার করেছেন। গাছে বসে, টিকিট ছাড়াই সে দারুণ উপভোগ করেছে অনুষ্ঠান। অন্যদিকে, ভিড় ছিল দেখার মত। যদিও, বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রই দাবি করেছেন স্টেজে কোনও কিছুই ছুঁড়ে দেওয়া উচিত না।