Aamir Khan: পে-পার-ভিউ মডেল- ই ভরসা, বক্স অফিস বাঁচাতে নতুন ভাবনা আমির খানের

তাঁর মতে, করোনা-পরবর্তী সময়ে প্রযোজকরা টাকার চাপে দ্রুত ছবিগুলো OTT প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করছিলেন, যার ফলে প্রেক্ষাগৃহের প্রদর্শনী প্রক্রিয়া বড় ধাক্কা খেয়েছিল।

তাঁর মতে, করোনা-পরবর্তী সময়ে প্রযোজকরা টাকার চাপে দ্রুত ছবিগুলো OTT প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করছিলেন, যার ফলে প্রেক্ষাগৃহের প্রদর্শনী প্রক্রিয়া বড় ধাক্কা খেয়েছিল।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
aamir khan talked about IPS officers visit in his house

আমির খানের দূরদর্শিতা... Photograph: (ফাইল)

গত মাসে আমির খান তাঁর বহুল আলোচিত ব্লকবাস্টার সিতারে জমিন পার (পরিচালনা: আর. এস. প্রসন্ন) এক অভিনব উপায়ে মুক্তি দিয়ে পুরো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে অবাক করেছিলেন। প্রচলিত স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে বা দীর্ঘদিনের থিয়েটার রানের পর নয়, বরং ছবিটি মুক্তির মাত্র ছয় সপ্তাহ পরই তিনি ইউটিউবে পে-পার-ভিউ ভিত্তিতে নিয়ে আসেন। প্রতি ভিউ ১০০ টাকা মূল্যে মুক্তি দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমির যেমন সমালোচিত হয়েছেন, তেমনি নতুন এক বিতর্কের সূচনা করেছেন।

Advertisment

গেম চেঞ্জার্স পডকাস্টে কথা বলতে গিয়ে আমির খোলাখুলি স্বীকার করেন—“হ্যাঁ, আমি ভয় পেয়েছিলাম।” তবে তাঁর মতে, করোনা-পরবর্তী সময়ে প্রযোজকরা টাকার চাপে দ্রুত ছবিগুলো OTT প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করছিলেন, যার ফলে প্রেক্ষাগৃহের প্রদর্শনী প্রক্রিয়া বড় ধাক্কা খেয়েছিল। তাঁর কথায়, “আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না, কারণ সবার টাকাই আটকে ছিল। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে প্রেক্ষাগৃহ বঞ্চিত হয়।” 

আমিরের মতে, মুখে মুখে প্রচার পাওয়া সিনেমা- যেমন সিতারে জমিন পার বা কিরণ রাওয়ের ২০২৪ সালের ছবি লাপাতা লেডিস- থিয়েটারে যথেষ্ট সময় রান করেনি। দর্শকরা জানেন কয়েক সপ্তাহ পরেই এটি অনলাইনে পাওয়া যাবে, তাই হলে যাওয়ার আগ্রহ কমছে। তাঁর কথায়, “একটা ছবির, প্রেক্ষাগৃহে ঠিকঠাক সুযোগ পাওয়া উচিত। যদি খারাপ হয় তবে তো ছবি চলবে না, কিন্তু ভালো হলে সেটি হলে নিজের জায়গা করে নিক।”  

Advertisment

আসলে এই ভাবনা নতুন নয়। থ্রি ইডিয়টস (২০০৯) এর পর থেকেই আমির তাঁর ছবিকে পে-পার-ভিউ মডেলে আনার কথা ভেবেছিলেন। ডিশ টিভি এবং টাটা স্কাইয়ের সঙ্গেও প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল। তবে সে সময়কার পেমেন্ট সিস্টেম জটিল হওয়ায় পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। আমির মনে করেন, প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে নতুন প্রেক্ষাগৃহ চালু করা গেলে সিনেমার ব্যবসা আরও প্রসারিত হবে। তাঁর কথায়, “থিয়েটার শুধু শহরে নয়, গ্রাম-জেলাতেও বাড়াতে হবে। সরকারের সহায়তা পেলে এই খাত আরও বড় হয়ে উঠতে পারে।”  

ভারতের চলচ্চিত্র অবকাঠামোর দিকেও আঙুল তুলেছেন আমির। তাঁর হিসাব অনুযায়ী, দেশের মাত্র ৩-৩.৫ কোটি মানুষ থিয়েটারে সিনেমা দেখে- যা ভারতের বিশাল জনসংখ্যার তুলনায় নগণ্য। চীনে যেখানে ১ লক্ষ এবং আমেরিকায় ৩৫ হাজার থিয়েটার আছে, সেখানে ভারতে সংখ্যা মাত্র ৯ হাজার, তারও অর্ধেক দক্ষিণ ভারতে। “আমরা বলি চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করব, কিন্তু পর্যাপ্ত থিয়েটারই যদি না থাকে, তাহলে সেটা কিভাবে সম্ভব?” প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

Entertainment News aamir khan