মডেল হিসাবে তাঁর যাত্রা শুরু। তারপর, টিভির অন্যতম শীর্ষ অভিনেত্রী এবং শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে ওঠা, স্মৃতি ইরানির শোবিজ থেকে রাজনীতিতে যাত্রা ভীষণ উল্লেখযোগ্য। তবে সম্প্রতি এক কথোপকথনে স্মৃতি স্বীকার করেছেন যে তার মাথায় আগুন জ্বলে উঠেছিল যখন তিনি বড় হয়ে মায়ের বিরুদ্ধে অবিচার করতে দেখেছিলেন, দায়িত্ব নিয়েছিলেন তাঁর বোন এবং মায়ের ভাল থাকার।
মোজো স্টোরিতে করণ জোহরের সঙ্গে কথোপকথনের সময় স্মৃতিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কোন গানটি তার জীবনকে প্রতিনিধিত্ব করবে। উত্তরে তিনি বলেন, 'কুছ কুছ হোতা হ্যায় থেকে অগ্নিপথ' দু দিকেই চলে যাবে। প্রেমের গান থেকে প্রতিশোধের দিকে ঝুঁকে পড়ার কারণ জানতে চাইলে স্মৃতি বলেন, "আমি সম্ভবত সেই সব বাচ্চার হয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছি, যারা কখনও সমানভাবে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পায়নি।"
Bollywood Actor Tragedy: মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন সুপারস্টার, চিকি…
জানিয়েছিলেন, যে তিনি অগ্নিপথ সিনেমা থেকে তিনি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হন। সিনেমার প্রধান চরিত্রের মতো, তিনিও তার মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন, "অগ্নিপথ এমন একটি ছেলের গল্প, যে তার মায়ের ইচ্ছা পূরণ করার চেষ্টা করছিল। সে ভেবেছিল যে তাঁর মা অবিচারের মুখোমুখি হয়েছে। এবং আমিও সর্বদা আমার নিজের মায়ের জন্য এটা অনুভব করতাম। আমার বয়স যখন ৭ বছর, তখন আমার মাকে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। কারণ তার ছেলে ছিল না। তাই আমার কাছে এটাই ছিল আমার অগ্নিপথ, মাকে ফিরে পেয়ে তার মাথার ওপর ছাদ দেওয়া।"
নীলেশ মিশ্রের সঙ্গে আগের আলাপচারিতায় স্মৃতি আর্থিক সীমাবদ্ধতার সঙ্গে বেড়ে ওঠার কথা বলেছিলেন। তিনি জানান, "আমার বাবা আর্মি ক্লাবের বাইরে বই বিক্রি করতেন। আমি তার সাথে বসতাম, আর মা বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে মশলা বিক্রি করতেন। আমার বাবা খুব বেশি পড়াশোনা করেননি, কিন্তু মা গ্র্যাজুয়েট ছিলেন। এই নিয়ে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত। যখন তাদের বিয়ে হয়, তখন তাদের কাছে মাত্র ১৫০ টাকা ছিল। প্রথমদিকে তারা গরুর শেডের উপরের একটি বাড়িতে থাকতেন। কিন্তু, বাবা মায়ের বিচ্ছেদ তাঁকে ভাবিয়েছিল। সেই সত্যি মেনে নিতে অনেক সময় লেগেছিল।