একটি সিরিয়াল থেকেই চূড়ান্ত খ্যাতি। স্মৃতি ইরানি সম্প্রতি তাঁর বহু চর্চিত ধারাবাহিক কিউকি সাস ভি কভি বহু থির নানান ঘটনা তুলে ধরেছেন। কেমন ছিল সেদিনগুলো? কিভাবে শুটিং করতেন তিনি? তাঁর সঙ্গেই জীবনের চড়াই উৎরাই। একদিকে যেমন পারিপার্শিক পরিস্থিতি তাঁর সঙ্গে অর্থের অভাব...অভিনেত্রী কেমন দিন যাপন করতেন জানা আছে?
নামমাত্র টাকা পেতেন প্রতি এপিসোডে, গাড়ি কেনা তো দূর অস্ত, বরং নিজস্ব প্রয়োজন মেটাতে গেলেও ভাবতে হত অনেকবার। বরং শুরুর দিন অটো করে সেটে আসতেন তিনি। লজ্জায় মাথা কাটা যেত মেকআপ আর্টিস্টের। এমন কথাই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেন, "আমার প্রতি এপিসোড টাকা এমন কিছু ছিল না। নিয়ম বহাল রেখেছিলেন প্রযোজক শোভা কাপুর। প্রথম একবছর ১৮০০ টাকা করে পেতাম। এবং আমার গাড়ি ছিল না তখন"। আর আমার মেকআপ আর্টিস্ট?
আরও পড়ুন < একমাস আগেই সম্পর্কের স্বীকারোক্তি, বারাণসীতে রহস্যমৃত্যু ‘ভোজপুরি কুইন’ আকাঙ্খার >
অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হওয়ার মেকাপ ম্যানের টাকা যথেষ্ট বেশি ছিল। অভিনেত্রী বললেন, "আমার মনে আছে আমায় ও বলত, যে ম্যাডাম আপনি একটা গাড়ি নিয়ে নিন। আমার খুব খারাপ লাগে আপনি অটোয় আসেন আর আমি গাড়িতে"। এখানেই শেষ নয়। সেটে কড়া ব্যবস্থাপনা মানতে হত সকলকে। কোনও খাবার নয়, চা নয়... যাতে সেটের জিনিসপত্র ধ্বংস না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হত। সবসময় তদারকি করতেন প্রযোজক শোভা কাপুর।
একদিকে মেগা সিরিয়াল অন্যদিকে রামায়ণ এ সীতার চরিত্র। রবি চোপড়া সন্তানের মত সামলেছেন তাঁকে। স্মৃতি জানিয়েছেন, গর্ভপাত হওয়ার পর বালাজি থেকে তাঁকে ছুটি না দেওয়া হলেও রবি চোপড়া বকা দিয়েছিলেন তাঁকে। এমনও বলেছিলেন, যে সন্তান হারানো কী জিনিস, জানো? চুপ করে বিশ্রাম নাও। সীতার চরিত্র আমি কোনওভাবে ম্যানেজ করে নেব। স্মৃতির কথায়, আমি সেদিন বুঝেছিলাম মনুষত্ব কি জিনিষ! মানুষের মধ্যে কত পার্থক্য।