মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুক ভবানীপুরে (Bhawanipur)‘বিজেপি বাজি’ ধরেছিল রুদ্রনীল ঘোষকে। ঘাসফুলের (TMC) শক্তঘাঁটি ভবানীপুরে পদ্ম ফোটনোর দায়ভারও ছিল তাঁর কাঁধেই। উপরন্তু বিধানসভা ভোটের (West Bengal Assembly Election 2021) আগে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছেন তিনি। এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বীও হেভিওয়েট! তৃণমূলপ্রার্থী রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী তথা মমতা শিবিরের অন্যতম স্তম্ভ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। অতঃপর ভবানীপুর কেন্দ্রে এই লড়াই যে 'প্রেস্টিজের লড়াই' ছিল তা বলাই বাহুল্য। তবে মমতার পিচে মুখ থুবড়ে পড়লেন পদ্মপ্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।
সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জিতেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sobhandeb Chatterjee)। প্রায় ২৯ হাজারেরও বেশি ভোটে হার রুদ্রনীল ঘোষের। দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে অমিত শাহের ভোটপ্রচারও ম্যাজিক ফিগারের স্বাদ দিতে ব্যর্থ হল রুদ্রনীলকে, এমনটাই বলছেন ভবানীপুরের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
একুশের বিধানসভা ভোটের মুখে সবুজ রং বদলে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেও নানা অভিযোগ তুলেছিলেন 'দলবদলু নেতা'। এককালীন বামপন্থী মনোভাবাপন্ন অভিনেতার ‘ভায়া তৃণমূল’ হয়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদানের বিষয়টিকে তখন মোটেই সুনজরে দেখেননি নেটজনতা তথা রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অতঃপর সমালোচনাও হয়েছিল জোর। তবে সেসব সঙ্গে করেই ভোটপ্রচারের ময়দানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দেগেছিলেন রুদ্রনীল। বলেছিলেন, "ভবানীপুর কেন্দ্রে হার জেনেই নন্দীগ্রামে পালিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।" কিন্তু ২মে বিকেল গড়াতেই উত্তর দিল ভোটবাক্স। 'দলবদলু' প্রতিদ্বন্দী বিজেপিপ্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikary) হারিয়ে বাংলার মেয়েকেই জিতিয়েছেন নন্দীগ্রামবাসী। তবে এত 'হম্ব-তম্বি'র পরও মমতা-গড়ে জিততে পারলেন না রুদ্রনীল ঘোষ। বরং, বিপুল ভোটে হারলেন।