/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/27/sohini-2025-08-27-12-23-33.jpg)
যা বললেন সোহিনী...
একজন মায়ের কোল যখন খালি হয়, সেই যন্ত্রণা বোঝার ক্ষমতা হয়তো কারওর থাকে না। কেবল একজন মা জানেন সেই কষ্ট। একজন সন্তানকে এতসময় ধরে নিজের গর্ভে বড় করে, সে যখন ভূমিষ্ঠ হল, তারপরই, মায়ের কোল ছেলে সে পাড়ি দিল না ফেরার দেশে। প্রসঙ্গে অভিনেত্রী সোহিনী গঙ্গোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই...
সমাজ মাধ্যমে জানা গিয়েছিল তিনি নাকি সন্তানকে হারিয়েছেন। নিজের অন্তঃসত্বায় বেশ ছবি শেয়ার করতেন তিনি। এমনকি, বেবি বাম্পে জগন্নাথ এঁকে তিনি বেশ আলোচনায় ছিলেন। তবে, তাঁর সন্তানকে জন্ম দিতেও আর কাছে পেলেন না। বরং ফুটফুটে প্রাণটা চলে গেল। আর এবার, সেই নিয়েই শুরু হয়েছে সমাজ মাধ্যমে শোরগোল। কখনও বলা হচ্ছে এত নজর লেগেছে, তাই আর সন্তান সুখ হল না। আবার কেউ ঠোঁট বাঁকিয়ে বলছেন, সবকিছু সহজে প্রকাশ্যে আনতে নেই।
তাঁকে নিয়ে এত নেগেটিভিটি শুরু হয়েছে, যে অবশেষে মুখ খুলতে তিনি বাধ্য হলেন। এই শরীর আর মনের অবস্থা, তাঁর মধ্যেই তিনি নিজের দিক তুলে ধরলেন সমাজ মাধ্যমের পাতায়। এই শোক ভোলার নয়। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুএন্সার লিখছেন... "২২শে অগস্ট আমাদের জীবনে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে, তাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে যা চলছে, তা আমাদের কল্পনার অতীত। আমরা বিভিন্ন মানুষের জল্পনার এবং সেই সংক্রান্ত আলোচনায় বিধ্বস্ত। এই বিষয়ে নানান ভিডিয়ো, পোস্ট,ডাক্তারবাবুর ভিডিয়োটি ও তার কমেন্ট সেকশন আমাদের দুজনকে এই শোকের সময়ে দুর্বলতর করে তুলছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে কোনো অফিসিয়াল বা আনঅফিসিয়াল বক্তব্য রাখিনি। এই পাঁচ দিনে আমাদের পক্ষে তা ভাবার পরিসরই ছিল না। আমরা চাইনি এখনই এই বিষয়কে কেন্দ্র করে কোনো কথা হোক যা আমাদের মানসিক অবস্থাকে আরো বিঘ্নিত করে।"
তিনি আরও জানালেন, তাঁদের সঙ্গে যা হয়েছে, সবটাই সামনে আনবেন তাঁরা। কিন্তু, এমন মন খারাপ করা একটি ঘটনায় তিনি ভীষণ উদ্বিগ্ন। পরিবারের মানুশগুলোর শোক কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। বলছেন, "আমরা নিশ্চয়ই আমাদের সঙ্গে হওয়া সমস্ত ঘটনার বিবরণ আপনাদের সামনে রাখব, সাক্ষ্য ,প্রমাণ নিয়েই দাঁড়াবো আপনাদের সামনে। কিন্তু এই মুহুর্তে আমরা মানসিক ও শারীরিক ভাবে অসমর্থ আপনাদের প্রশ্ন ,ট্রোল , লড়াই এগুলোর উত্তর দিতে। আপনারা অনুগ্রহ করে আমাদের সময় দিন ; সন্তান হারানোর যন্ত্রণাটুকু আমাদের পরিবারকে সামলে উঠবার সুযোগ দিন। এই শোকের সময়ে এইটুকু সহমর্মীতা ও সাহায্যের আশা করছি আপনাদের থেকে। আশা রাখি, এই শোকবার্তা আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া অকল্পনীয় , আকস্মিক বিপদের সময়টুকুতে আপনাদের বিরত রাখবে এই সংক্রান্ত পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতে।"