পাখির চোখ এখন একুশের নির্বাচন। অতঃপর নির্বাচনী প্রচার আপাতত তুঙ্গে। ফ্লেক্স-ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছে বাংলার অলি-গলি। ক্ষমতার লড়াই কে টিকে থাকবে? শেষ অবধি সেটাই দেখার। তবে, বাংলার জমিতে ঘাসফুল আর পদ্ম ফোঁটার লড়াইয়ে যে-ই এগিয়ে থাকুক না কেন, গেরুয়া শিবিরের 'বানান অভিধান' কিন্তু ইতিমধ্যেই চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে শিক্ষিতমহলের কাছে। যা নিয়ে নেটজনতারাও রীতিমতো খোরাক শুরু করেছেন। তাঁদের কথায়, "আগে বাংলাটা ঠিক করে তো শিখুন, তারপর না হয়, বাংলার গদিতে বসার চিন্তা করবেন।" সম্প্রতি বিজেপির এক ফ্লেক্সে এরকমই এক ভুল বানান চোখে পড়ে অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর (Soham Chakraborty)। বছর চারেক আগে থেকেই তিনি বেশ সক্রিয়ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাও বটে! সেই তিনিই এবার ভুল বানান দেখে বিজেপির 'ক্লাস' নিলেন।
দন্ত-ন এবং মূর্ধ-ণ-এর পার্থক্য বোঝালেন। একাধারে তিনি টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা, অন্যদিকে যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি। কাজেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্য দলের পাশাপাশি সোহমও যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি এক প্রচার সভায় মমতা সরকার শাসিত বাংলায় ‘গনতন্ত্র’হীনতার দাবি করেছিল বিজেপি। তবে ওই বানানেই গন্ডগোল! তা আবার ঠিক চোখে পড়েছে সোহম চক্রবর্তীর। ছেড়ে কথা বলেননি। সপাটে জবাব কষিয়ে দিয়েছেন।
সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী তাঁর টুইটার প্রোফাইলের কভার ছবিতে ওই প্রচারসভার ছবি দিয়েছিলেন। যেখানে জ্বলজ্বল করছে পিছনের ব্যানার। তাতে লেখা- ‘অপশাসন হাটাও, গনতন্ত্র বাঁচাও’। এই ছিল বানান। কিন্তু এ তো দন্ত-ন এবং মূর্ধ-ণ গুলিয়ে গিয়েছে! আর সেই বানান দেখেই চটে গেলেন সোহম। শুধু ভুল সংশোধনই করলেন না বিজেপি-কে একহাতও নিলেন।
টুইটারে শুভেন্দু অধিকারীর প্রোফাইলের ছবির স্ক্রিনশট পোস্ট করে লিখলেন, "গণতন্ত্র তো মানেন না, অন্তত শব্দের বানানটা তো ঠিক করে লিখতে পারতেন।"
প্রসঙ্গত, গেরুয়া শিবিরের ফ্লেক্স-ব্যানার হোক কিংবা তাঁদের নেতামন্ত্রীদের মন্তব্য থেকে উচ্চারণ, বাংলার সংস্কৃতিকে অনেকাংশেই অপভ্রংশের অভিযোগ তুলছেন শিক্ষিতমহল। এবার সেই বিষয়েই গেরুয়া শিবিরকে পাঠ পড়ালেন যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী।