"বাংলায় ঘুরতে এসো, বাংলাকে দেখতে এসো। মালদার মিষ্টি আম দিয়ে তোমাদের স্বাগত জানাব। কিন্তু বাংলার দিকে যদি কুনজরে তাকিয়েছ, তাহলে আমের আঁটি ছু়ঁড়ে মারব", বিজেপিকে (BJP) হুঁশিয়ারি যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তীর (Soham Chakraborty)।
বুধবার মালদায় তৃণমূলের শাখা সংগঠন জয়হিন্দ বাহিনীর তরফে একটি পথসভার আয়োজন করা হয়। সেই পথসভাতেই হাজির ছিলেন যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী। সেখানেই গেরুয়া শিবিরের দিকে তোপ দাগেন অভিনেতা তথা রাজনীতিক। উল্লেখ্য, এর আগে অমিত শাহ-সহ বিজেপির নেতাদের বাংলা সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। বলেছিলেন, "গেরুয়া শিবিরের নেতামন্ত্রীদের এহেন ঘনঘন বাংলা সফরের জন্যই রাজ্যের পর্যটন শিল্প চাঙ্গা হবে।" এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী শিবিরের বাংলা সফর নিয়ে সেই একই সুরে কটাক্ষ করলেন সোহম চক্রবর্তীও।
পাখির চোখ এখন একুশের নির্বাচন। অতঃপর নির্বাচনী প্রচার আপাতত তুঙ্গে। ফ্লেক্স-ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছে বাংলার অলি-গলি। ক্ষমতার লড়াই কে টিকে থাকবে? শেষ অবধি সেটাই দেখার। তবে, বাংলার জমিতে ঘাসফুল আর পদ্ম ফোঁটার লড়াইয়ে যে-ই এগিয়ে থাকুক না কেন, রাজ্য-রাজনীতি যে ইতিমধ্যেই দল-বদলের পালা নিয়ে বেশ সরগরম, তা বলাই বাহুল্য।
দিন কয়েক আগেই বিজেপির বানান ক্লাস নিয়েছিলেন যুব তৃণমূলের (Trinamool) সহ-সভাপতি সোহম। বিজেপির প্রচারসভার ফ্লেক্সে ‘গণতন্ত্র’ বানান ভুল থাকার জন্য গেরুয়া শিবিরকে কোনওরকম রেয়াত না করেই বলেছিলেন, “গণতন্ত্র তো মানেন না, অন্তত বানানটা ঠিক করে লিখুন।” বুধবার মালদার রোড শো থেকে নাম না করেই সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও (Suvendu Adhikari) তোপ দাগেন। প্রতিবাদ করেন তাঁর “তোলাবাজ ভাইপো হটাও” মন্তব্যের। সেই পথসভা থেকেই বিজেপিকে হুঁশিয়ারিও দেন যে, "বাংলার দিকে কুনজর দিলে আমের আঁটি ছুঁড়ে মারবেন।"