বয়স চার মাস। এদিকে শরীরে বাসা বেঁধেছে দুরারোগ্য হার্টের ব্যধি। প্রয়োজন অস্ত্রোপচারের। কিন্তু সংসারে সেই টাকা কোথায়! বাবা যৎসামান্য মাস-মাইনের চাকরি করেন। অতঃপর অপারেশন করার জন্য এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগাড় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। এখন উপায় কী? অমনি গ্রামবাসীরা স্মরণাপন্ন হলেন সোনু সুদের (Sonu Sood)। এই খবর কানে পৌঁছতেই বিন্দুমাত্র দেরি করেননি। নিজে যোগাযোগ করে আশ্বস্ত করেছেন যে, তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী যথাসাধ্য সাহায্য করবেন।
লকডাউনে তিনিই ঈশ্বরের দূত হিসেবে ধরা দিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে। অতিমারী আবহে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শোনা গিয়েছে শুধু একটাই নাম- সোনু সুদ। এমন কঠিন সময়ে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন দুস্থ-দরিদ্রদের ‘মসিহা’। লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর পাশাপাশি বহু দুস্থ পরিবারের পাশেও দাঁড়িয়েছেন। কোথাও অনাথ শিশুদের দায়িত্ব নিয়েছেন, আবার কোথাও বা হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছেন। দুস্থ পরিবারের সন্তানদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা করে স্বপ্ন দেখার সাহস জুগিয়েছেন। এমন মানবসেবার জোরে ইতিমধ্যেই আদায় করে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক প্রশংসা। আর সেই অভিনেতাই কিনা আবারও দুস্থদের 'মসিহা' হিসেবে এগিয়ে এলেন। ৪ মাসের শিশুর হার্টের অপারেশনের যাবতীয় দায়িত্ব তুলে নিলেন নিজের কাঁধে।
৪ মাসের ছোট্ট সূর্যর হঠাৎ-ই হৃদপিণ্ডের সমস্যা ধরা পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক অস্ত্রোপচারের কথা বলেন। তবে এর জন্য প্রয়োজন প্রায় ৭ লক্ষ টাকা! এদিকে সূর্যের বাবা অদ্বৈতবাবু সামান্য এক ক্যুরিয়র কোম্পানিতে চাকরি করেন। খুদে ছেলের অপারেশনের জন্য এই টাকা জোগাড় করা তাঁর পক্ষে প্রায় অসম্ভব। ঠিক তখনই সূর্যের গ্রামের জনৈক ব্যক্তি সোনু সুদকে টুইট করে গোটা ঘটনাটি জানানোর পরামর্শ দেন। গ্রামের লোকের কথা শুনে সূর্যের বাবা টুইট করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দেন সোনু। বলিউড অভিনেতা জানিয়েছেন, "তিনি ছোট্ট সূর্যের পাশে আছেন ৷ ইনোভা পার্ট হাসপাতালে অপারেশনের সমস্তরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে৷" কোনাসাম্বা মূর্তি নামে এক চিকিৎসক অপারেশন করবেন বলেও জানান। অন্যদিকে, গ্রামের মানুষও ছোট্ট সূর্যের চিকিৎসার জন্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সোনুর এমন উদ্যোগে আপ্লুত খুদের বাবা অদ্বৈতবাবু।