শুধু সিনেমার পর্দায় নয়, বাস্তবেই প্রকৃত হিরো সোনু সুদ (Sonu Sood), এমনটাই বলছেন অনুরাগীরা। ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় এক পা বাদ যায় বিহারের এক কিশোরীর। সেই তখন থেকেই এক পা সঙ্গী করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে স্কুল যায় সে নিত্যদিন। পিঠে ভারী ব্যাগের বোঝা। মাথার ওপরে গনগনে সূর্য। মাঠ-ক্ষেত পেরিয়ে খালি পায়ে এক পায়ে হেঁটেই স্কুল-সফর করতে তাকে রোজ। আর সেই দুস্থ পরিবারের কন্যার এমন করুণ কাহিনি শুনেই থাকতে পারলেন না সোনু সুদ। তড়িঘড়ি নিজের টিমকে কাজে লাগিয়ে দিলেন ওই দুস্থ কিশোরীর সাহায্য করতে।
জামুইয়ের বাসিন্দা ওই কিশোরী। রোজ একাই এমন যুদ্ধ করতে স্কুলে যেতে হয় তাকে। এদিকে পরিবারে আর্থিক অনটনে। যেখানে দু বেলা দু মুঠো অন্নসংস্থান করা কঠিন, সেই পরিবারে মেয়ের চিকিৎসার কথা ভাবতেও পারেননি তার মা-বাবা। অতঃপর করুণ পরিস্থিতি দেখে ওই কিশোরীর স্কুলে যাওয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করেন এক সহৃদয় ব্যক্তি। সেই ভিডিও নজরে পড়ে সোনু সুদের। আবারও ত্রাতার মতো এগিয়ে আসেন তিনি।
ওই ভিডিও রি-টুইট করেই অভিনেতা জানিয়ে দেন যে, “বিহারের ওই কিশোরীর বাড়িতে টিকিট পাঠানো হয়েছে। এবার থেকে ও আর এক পায়ে নয় দু পায়েই স্কুলে যাবে। এবার ওর জোড়া পায়ে চলার সময় চলে এসেছে।” ‘রিয়েল লাইফ হিরো’ একেই বলে, অভিনেতার এমন উদ্যোগে বলছেন ভক্তরা।
[আরও পড়ুন: শুটিংয়ের মাঝে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সেট! অল্পের জন্য রক্ষা পেল ‘মিঠাই’]
প্রসঙ্গত, কুড়ি সালের অতিমারী আবহ থেকেই দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সোনু সুদ। কখনও মাইলের পর মাইল হেঁটে চলা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন। আবার কখনও বা পোয়াতি মহিলাকে সযত্নে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন। দেশজুড়ে যখন অক্সিজেন সংকট তখন বাড়ি বাড়ি অক্সিজেন সিলিন্ডার, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র পাঠিয়েছেন সোনু। দুঃস্থদের মুখে দু’বেলা অন্ন তুলে দিয়েছেন। আবার করোনার কোপে অনাথ হয়ে যাওয়া শিশুদের লালন-পালনেরও দায়িত্ব নিয়েছেন।
অতিমারী সঙ্কটে সোনু সুদ যেভাবে গোটা দেশের আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তা একবাক্যে বলা অসম্ভব। তবে অভিনেতার সেই অবদান ভোলেননি মানুষ। তাই তো দক্ষিণের প্রত্যন্ত গ্রামে সোনুর মূর্তি বানিয়ে ভগবান-রূপে পুজো করা হয় তাঁকে। আবার উত্তর-পূর্বের কোনও অঞ্চলে তাঁর নামে এলাকার রাস্তা তৈরি করা হয়। কেউ কেউ তো আবার সোনুর কাছ থেকে আর্থিক অনুদান পেয়ে দোকান খুলে অভিনেতার নামে নামকরণ করে ফেলেছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন