গরীবের মসিহার সঙ্গে দেখা করতে মুম্বই এসেছিলেন। এবার, সেই আশাই পূর্ন হল তাঁর। ফেরালেন না সোনু সুদ। কথাও রাখলেন, তাঁকে সঙ্গও দিলেন। বিহারের খিলানন্দ ঝা, সোনুর কাছ থেকে সাহায্য পেতেই এসেছিলেন।
সানডে এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, স্ত্রীর চিকিৎসার বিল মেটাতে প্রচুর টাকা ঋণ হয়েছিল তাঁর। ১৯৭০ এবং ৮০ এর দশকে তিনি বিহারে এক বিপ্লব ঘটিয়েছেন। একজন ব্রাহ্মণ সন্তান যিনি, দলিত স্ত্রীর সঙ্গে প্রেম এবং পরবর্তীতে তাঁকে বিয়ে করেন। তখনকার দিনে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। সমাজের উপহাস এবং হয়রানি সম্মুখীন হতেই লড়াই শুরু করেন। তাঁর অনশনের জেরে সংসদ ভবনও ভাবতে বাধ্য হয়েছিল।
দিল্লি থেকে মুম্বই আসার প্রায় তিন সপ্তাহ পর, তিনি অভিনেতা সোনু সুদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। শুধু তাই নয়, সোনু এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময় জানান, আমি ঝা এর সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁর দুর্দশার কথা বিস্তারিত শুনেছি। সে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। আমি তাঁকে খালি হাতে যেতে দেব না। আমার সাধ্যমত ওকে সাহায্য করব। টাকা কমানোর জন্য দেনাদারদের সঙ্গে কথা বলব। কিছুদিন সময় চেয়েছি মাত্র।
এদিকে, খিলানন্দ নিজেও বেশ আনন্দিত সোনুর সঙ্গে দেখা করতে পেরে। অভিনেতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের মুহূর্ত ব্যাখ্যা করেই তিনি জানান, অভিনেতা আমায় আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি সাহায্য করবেন। আমি কৃতজ্ঞ। শুধুই সোনু নন। অনেকেই এগিয়ে এসেছেন তাঁর সাহায্যে। অর্থ সাহায্য করছেন অনেকেই। তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসায় দেনায় ডুবে রয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এতকিছুর পরেও স্ত্রী মিনতি পাসোয়ানকে বাঁচাতে পারেননি। প্যারালাইসিস স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর এবছরই গত হয়েছেন তিনি।