লকডাউনে দুস্থদের পাশে দাঁড়িয়ে জাতীয় নায়ক হয়ে উঠেছেন সোনু সুদ (Sonu Sood)। তাঁকে নিয়ে রীতিমতো রাজনৈতিক দলগুলির টানাটানি। এর পাশাপাশি অবশ্য ভর্ৎসনাও কম জোটেনি। এবার শিবরাত্রি উপলক্ষে পোস্ট করে বিতর্কের মুখোমুখি বলিড অভিনেতা। করোনা আবহে কিংবা লকডাউন পরবর্তী সময়ে যেভাবে তিনি অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেই প্রেক্ষিতেই শিবরাত্রির শুভক্ষণে অনুরাগীদের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন যে, এইদিনটা অন্তত শুধুমাত্র ভগবানের ছবি শেয়ার না করে দুস্থদের সাহায্য করুন। ব্যস, অভিনেতার এমন পরামর্শেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছে নেটজনতার একাংশ। অতঃপর সোনু সুদকে পাল্টা আক্রমণ করতেও পিছপা হননি তাঁরা। নেটজনতার একাংশের কথায়, 'মানুষের ধর্ম-বিশ্বাস নিয়ে বালখিল্য করবেন না।'
বৃহস্পতিবার শিবরাত্রি উপলক্ষে অভিনেতা টুইট করেছিলেন, ‘ভগবান শিবের ছবি না পাঠিয়ে যে মানুষরা অসহায়, তাঁদের সাহায্য করুন। ওম নমঃ শিবায়।’ কারণ, এই একই পথ অনুসরণ করেছিলেন সোনু সুদ নিজেও। অতিমারির সময় লকডাউনে নানা জায়গায় আটকে থাকা পরিযায়ীদের নিজের উদ্যোগে বাড়ি ফিরিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, কাজ খোয়ানো অনেককে কর্মসংস্থান এবং পড়াশোনার ক্ষেত্রেও সাহায্য করেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই সোনুকে সম্মান জানিয়ে তাঁর নামে একটি মন্দিরও তৈরি হয়েছে দক্ষিণ ভারতের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। শিবরাত্রির দিনও তাই সকলকে নিজের মতাদর্শে অনুপ্রাণিত করতে চেয়েছিলেন সোনু সুদ। কিন্তু হিতে হল বিপরীত। ক্ষেপে উঠলেন নেটজনতার একাংশ।
নেটিজেনদের কথায়, "ভাই আপনি বিপদের দিনে অনেক মানুষকে সাহায্য করেছেন, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু আপনার প্রতি উপদেশ, ধর্ম-বিশ্বাস নিয়ে চিন্তাভাবনা করে কথা বলুন। ভাল মানুষদের মাথায় করে রাখা হয় ঠিকই। কিন্তু ধর্ম নিয়ে কথা বললে কেউ সহ্য করবে না!" আরেক নেটজনতা তো ইদের দিনের টুইটের সঙ্গে তাঁর শিবরাত্রির টুইটের তুলনা টেনে আনেন। বলেন, "অন্য ধর্মের উৎসবে তো আপনাকে এমন উপদেশ দিতে দেখা যায় না!" কেউ বা আবার এও বলেন যে, "এক কাজ করুন, আপনি আপনার সিনেমার প্রযোজকদেরও এই একই উপদেশ দিন যে, আমার সিনেমায় খরচ না করে দুস্থদের সাহায্য করুন। তাতে দর্শকদের টাকা নষ্ট হবে না।"