বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের সঙ্গে আইনি লড়াই জারি। কিন্তু তার মাঝেও সাহায্যের হাত থামল না সোনু সুদের (Sonu Sood)। দেশের দুস্থ শিশুরা যাতে এই অতিমারী আবহে অনলাইন ক্লাসটা ঠিকমতো চালিয়ে যেতে পারে, তারই ব্যবস্থা করলেন অভিনেতা। বিনামূল্যে স্মার্টফোন বিলি করবেন সোনু।
সদ্য নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে একটি ছবি পোস্ট করে সোনু জানিয়েছেন যে, “অভাবের জন্য আমার দেশের কোনও পড়ুয়ার অনলাইন ক্লাস আর মিস হবে না।” তাঁর এই পদক্ষেপকে অভিনেতা নিজের পরবর্তী মিশন বলেও আখ্যা দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও দুঃস্থ শিশুদের মাঝে ১০০টি ফোন বিলি করেছিলেন সোনু সুদ। যা পাঠানো হয়েছিল পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, এবং মুম্বইয়ে। এবার এই প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সোনু জানান, লকডাউনের সময় বা নিউ নর্মালে অনেক পড়ুয়াই স্মার্টফোনের অভাবে অনলাইন ক্লাস করতে পারছে না। সেই কারণেই এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তিনি তৈরি করছেন যার মাধ্যমে সেসমস্ত দুস্থ পড়ুয়ার তথ্য জেনে তাদের কাছে স্মার্টফোন পৌঁছে দেওয়া যাবে। এতে পড়ুয়াদেরও আফশোস থাকবে না, আবার তাদের অভিভাবকরাও অপরাধবোধে ভুগবেন না।
“জীবে প্রেম করে যে জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”, স্বামী বিবেকানন্দের এই বাণী সোনু সুদ যেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। মানবসেবা যে ঈশ্বর পুজোর চেয়ে কোনও অংশে কম নয়, তা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন তিনি। এবারও তার অন্যথা হয়নি।
অতিমারী আবহে গোটা লকডাউনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শোনা গিয়েছে শুধু একটাই নাম- সোনু সুদ (Sonu Sood)। এমন কঠিন সময়ে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন দুস্থ-দরিদ্রদের ‘মসিহা’। লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর পাশাপাশি বহু দুস্থ পরিবারের পাশেও দাঁড়িয়েছেন। কোথাও অনাথ শিশুদের দায়িত্ব নিয়েছেন, আবার কোথাও বা হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছেন। দুস্থ পরিবারের সন্তানদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা করে স্বপ্ন দেখার সাহস জুগিয়েছেন। এমন মানবসেবার জোরে ইতিমধ্যেই আদায় করে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক প্রশংসা। সেই মানবদরদী অভিনেতা আরও একবার দুস্থদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করলেন।