/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/09/satyajit.jpg)
সত্যজিৎ এর সঙ্গে সৌম্যেন্দু
সামনে দাঁড়িয়ে সত্যজিৎ রায়। একদম নতুন যখন কেউ ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শিখতে আসে তখন মানিক দাকে প্রশ্ন করা যায়? নিশ্চই না! ঠিক এমন এক অবস্থার মধ্যে দিয়েই গিয়েছিলেন সৌম্যেন্দু রায়। তবে, একসময় এই ভয় পেরিয়েই তিনি হয়ে উঠেছিলেন সত্যজিৎ এর ডান হাত। একের পর এক ছবিতে তাঁর ক্যামেরা সঙ্গদে কাজ করেছিলেন। সে কি অসাধারণ শট! দেখলে মন ভরে যায়।
১৯৫৪ সালে পথের পাঁচালীর ইউনিটে প্রথম গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই আলাপ সত্যজিৎ এর সঙ্গে। তারপর? একের পর এক ছবি করে গিয়েছেন তিনি। এমন বিশেষ কয়েকটি ছবি যা না দেখলে মিস করবেন... জানেন?
অভিযান ( ১৯৬২ ) : সত্যজিৎ রায়ের এক অনন্য সৃষ্টি, যদিও আধারিত তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এর উপন্যাস এর ওপর। এই ছবিতে নরসিংহ এর ভূমিকায় অভিনয় করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। গুলাবির চরিত্রে ওয়াহিদা রেহমান। এবং নিলির চরিত্রে রুমা গুহঠাকুরতা। জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এই ছবিটিতে ক্যমেরার অসাধারণ কাজ দেখিয়েছেন তিনি।
মহাপুরুষ ( ১৯৬৫ ) : সত্যজিৎ রায় পরিচালিত এবং চারুপ্রকাস ঘোষ ও রবি ঘোষ অভিনীত এই ছবি বাংলা সিনেমার একটি মাইলস্টোন। পরশুরাম এর বিরিঞ্চিবাবার ওপর নির্মিত এই চলচ্চিত্র।
চিড়িয়াখানা ( ১৯৬৭ ) : উত্তম এই ছবিতে ব্যোমকেশের ভূমিকায়। ফের একবার সত্যজিৎ - সৌম্যেন্দু ম্যাজিক। ২৪ পরগনার নার্সারির বুকে সমস্ত ঘটনা মোড় নেয়। এই ছবিও এক মাইলস্টোন।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/09/s1-2.jpg)
গুপী গায়েন বাঘা বায়েন ( ১৯৬৯ ) : এই ছবির নতুন কোনও বর্ণনা লাগে না। তপেন চট্টোপাধ্যায় এবং রবি ঘোষ অভিনীত এই ছবি বাংলা সিনেমার ইতিহাসে সুনামির সম।
অরণ্যের দিন রাত্রি ( ১৯৭০ ) : এক বিরাট স্টার কাস্ট, তাঁর সঙ্গে অসাধারণ কিছু ক্যামেরা সিকোয়েন্স। কামাল করেছিলেন চিত্রগ্রাহক।
অশনি সংকেত ( ১৯৭৩ ) : এই ছবি সিনেমাটগ্রফির জন্য জাতীয় পুরস্কার পায়।
সোনার কেল্লা ( ১৯৭৪ ) : এই ছবির শট তাঁর হাতেই তোলা। সত্যজিৎ রায়ের এই ছবিকেও জাতীয় পুরস্কার এনে দিয়েছিলেন সৌমেন্দু রায়।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/09/s2.jpg)
ঘরে বাইরে ( ১৯৮৪ ) : রবি ঠাকুরের উপন্যাস এবং সত্যজিৎ এর ক্রিয়েশনকে ফুটিয়ে তুলেছিলেন তিনি। এই ছবিও বাংলা ছবির ইতিহাসে একটা মাইলস্টোন।
এছাড়াও, তিনি আরও বেশ কয়েকটি ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। শতরঞ্জ কে খিলাড়ি, এছাড়া ১৯৮২ সালে শ্রেষ্ঠ সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন কান সিভান্থাই মান সিভাককুম ছবির জন্য।