সত্যজিতের ফেলুদা হওয়ার স্বপ্ন প্রথম দিন থেকেই ছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর। জীবনের অন্যতম সেরা অধ্যায় হিসেবেই ফেলু মিত্তির এর চরিত্রে অভিনয় শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু, এর পেছনে এক মহৎ উদ্দেশ্য ছিল তাঁর সেটি কী?
সত্যজিৎ রায় যখন ফেলুদার চরিত্র নিয়ে বেজায় ব্যস্ত, তখন সকলের ভাবনা চিন্তায় একটাই ছিল, যে কাকে মাথায় রেখে এই চরিত্রটি সৃষ্টি করছেন তিনি? প্রথম এই ভাবনা যার মাথায় এসেছিল তিনি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সরাসরি তিনি কিংবদন্তী পরিচালককে জিজ্ঞেস করে বসেন, আপনি কি নিজেকে মাথায় রেখে ফেলুদাকে বানাচ্ছেন? তাঁর এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেন রায় মহাশয়। বলেন, সে কি? সবাই তো বলে আমি নাকি তোমার কথা মাথায় রেখে এর স্কেচিং করছি।
আরও পড়ুন < ‘হেরে গেলাম উত্তম..’, মহানায়কের শেষবেলায় সুচিত্রাকে এক বিরাট অধিকার দিয়েছিলেন গৌরী দেবী.. >
পরবর্তীতে যখন এই ছবিতে সুযোগ পেলেন তখন যেন হাতে চাঁদ পেলেন সৌমিত্র বাবু। দীর্ঘ ৫০ বছরের অভিনয় জীবনে নতুন কিছু করার ইচ্ছে এবং সুযোগ দুটোই পেয়েছিলেন তিনি। দাদাগিরির মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, "আমি একটা জিনিষ খুব বেশি করে উপলব্ধি করেছিলাম যে ছোটদের জন্য কিছু করতে পারছি। আমার খুব দুঃখের জায়গা ছিল যে বাংলা সিনেমায় ছোটদের জন্য কিছু হত না। সেটা আমি এর মাধ্যমে করতে পেরেছিলাম।"
তবে, ফেলুদার চরিত্র করার সময় বেশ কিছু বিষয় নজরে রেখেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়? সেটি কী?
আরও পড়ুন < গায়ে আঁটছিল না জার্মানদের বড় জামা, অতঃপর ছোটদের জামা কিনেই ফিরে আসেন রবি ঘোষ! >
অভিনেতা বলেন, "আমার শুরু থেকেই মনে ছিল যে ফেলুদা একজন খুব চিন্তাশীল মানুষ। তাই, একজন চিন্তাশীল মানুষকে যেমন হতে হয় সেটাই আমায় করতে হত। অর্থাৎ, চোখের কারিগরি। যাতে ওর চোখ দেখলে বোঝা যায় যে সে কিছু চিন্তা করছে। আমি তো সব্যসাচীকেও বলেছিলাম যে এই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে। চোখের যে একটা কঠিন ভাব সেটা যেন বজায় থাকে।"