একাধিক অঙ্গ-প্রতঙ্গই আর কাজ করেছে না। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। শনিবার রাতের পরও তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। আপাতত শেষ চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে যে, সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বর্ষীয়ান অভিনেতাকে। পূর্ণ মাত্রায় অক্সিজেন দেওয়া সত্ত্বেও তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমছে। রক্তচাপ কমছে শরীরেও। কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হার্ট কাজ করছে না। ডায়ালিসিস ও প্লাজমাফেরাসিসেও ফল মিলছে না। অভিনেতার মস্তিষ্কের স্নায়ুর সচেতনতা অর্থাৎ গ্লাসগো কোমা স্কেল প্রায় ৫-এর নীচে। ফলে পরিস্থিতি জটিলের থেকে ভয়ঙ্কর।
শনিবার রাতেই সৌমিত্রবাবুর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাঃ অরিন্দম কর জানিয়েছিলেন, 'চিকিৎসকদের বিভিন্ন রকম চেষ্টা সত্বেও তাঁর (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়) শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। গত প্রায় ৪০ দিন ধরে তাঁরা চেষ্টা চালিয়েছেন। বিভিন্ন রকম চিকিৎসা পদ্ধতিতে তাঁর চিকিৎসা করা হয়েছে। স্টেরয়েড, প্লাজমা থেরাপি, করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বড় দল তাঁকে সুস্থ করে তোলার জন্য কাজ করেছে। স্নায়ু, নেফ্রোলজি, কার্ডিওলজি, সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। সরকার এবং বেসরকারি- সব স্তরের চিকিৎসকেদের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। তবে আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই, তাঁর শরীর চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে না। তাঁর পরিবারের সদস্যদের এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। সৌমিত্রবাবুর শারীরিক অবস্থা নিয়ে সবাই চিন্তিত, উদ্বিগ্ন। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন পুরো বিষয়টি। তবে আমরা শেষ চেষ্টা করছি।' এই অবস্থায় মিরাকেলও কার্যত অসম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
গত ৬ অক্টোবর করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে গাসপাতালে ভরতি হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। দিন দশেকের মধ্যেই অভিনেতার কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর সৌমিত্র চটোটপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও কোভিড এনসেফেলোপ্যাথির কারণে তাঁর স্নায়ুতে প্রভাব পড়ে। তারপর থেকেই প্রায় অচেতন অবস্থাতেই রয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। শুক্রবার ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন