শেষ হল ৪১ দিনের লড়াই। হাসপাতালের বেডে টানা এতদিন ধরে প্রকৃত যোদ্ধার মতো লড়ে যাচ্ছিলেন খিদ্দা। তবে অনুরাগীদের এত প্রার্থনা, চিকিৎসকদের হাজারো চেষ্টা সত্ত্বেও আর ফিরে এলেন না ফেলুদা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee)। বাঙালি হারালো তাঁর 'আইকনিক হিরো'কে। প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই বেলা ১টা নাগাদ বেলভিউ হাসপাতালে পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কথা বললেন কন্যা পৌলমী বসুর সঙ্গে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না বিনোদন জগৎ। মেয়ে পৌলমীর পাশে থাকতে হাসপাতালে পৌঁছেছেন কৌশিক ও ঋদ্ধি সেন, রাজ চক্রবর্তী-সহ আরও অনেকে।
ছবি- (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস) শশী ঘোষ
হাসপাতাল চত্বরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কন্যা পৌলমী বসু। পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কান্না ধরা গলায় পৌলমী জানালেন, "হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ২টো নাগাদ বেরিয়ে গলফ্গ্রীনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে মার কাছে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে। এরপর টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর ৩টের পর রবীন্দ্র সদনে যাব। সেখানে ২ ঘণ্টা রাখা হবে তাঁকে। এরপর কেওড়াতলা মহাশ্মশানে হবে শেষ কৃত্য। যে সম্মান ওঁর প্রাপ্য ছিল, তার থেকেও বেশি সম্মান দিয়েছেন বাবাকে। এত আপনজনের মতো ভালবাসা দেওয়ার জন্য আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। বেলভিউ নার্সিংহোমের প্রতিও কৃতজ্ঞ। অরিন্দম কর থেকে শুরু করে প্রত্যেককে অসংখ্য ধন্যবাদ যেভাবে ওনারা চেষ্টা করেছেন। বাবা চিরকাল আমাদের মধ্যে থেকে যাবেন। বাবাকে আমরা সেলিব্রেট করব হাসিমুখে।"
ছবি- (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস) শশী ঘোষ
ছবি- (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস) শশী ঘোষ
"সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু সত্যিই বেদনাদায়ক। চলচ্চিত্র জগৎ থেকে শুরু করে নাট্যজগৎ অনেক ক্ষেত্রেই ওঁর অগাধ বিচরণ ছিল। রবীন্দ্র সদন থেকে মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধে ৬টা থেকে ৬:৩০-এর মধ্যে গান স্যালুট দিয়ে তাঁকে সম্মান জানানো হবে। উনি পার্থিবভাবে হয়তো চলে গিয়েছেন। কিন্তু তিনি আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন। সৌমিত্রদার শূন্যস্থান কেউ পূরণ করতে পারবেন না। আপনি যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন", বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।