সোমবারই শোনা গিয়েছিল যে আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের জন্য সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের আশার খবর শোনালেন ডাক্তাররা। অস্ত্রোপচারের পর নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে প্রবীণ অভিনেতার আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ।
রবিবার রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ায় বেশ উদ্বিগ্ন ছিলেন চিকিৎসকরা। যার জেরে ৪ ইউনিট রক্তও দিতে হয়েছিল তাঁকে। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় বর্তমানে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে। কিডনির সমস্যা থাকলেও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসার জন্য গঠিত টিমে প্রধান দায়িত্বে থাকা ডাঃ অরিন্দম কর সোমবার রাত ১০টা নাগাদ বলেন, "রক্তক্ষরণ আর হবে না বলেই মনে হচ্ছে। এখন আমরা সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য আরও সুযোগ পেয়েছি। সৌমিত্রবাবুর শরীরে হিমোগ্লোবিন বা প্লেটলেট হঠাৎ কমে যাওয়ার যে সমস্যা তা আর দেখা দেবে না।"
২৫ দিন ধরে হাসপাতালের বেডে প্রকৃত যোদ্ধার মতো লড়ে যাচ্ছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee)। দিন দুয়েক আগেই শোনা গিয়েছিল স্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকে এগোচ্ছেন প্রবীণ অভিনেতা। ডাকলে চোখ খুলছেন। তবে রবিবার, খুব একটা আশার কথা শোনাননি চিকিৎসকরা। আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের জন্য তাঁর শরীরে অস্বাভাবিকহারে হিমোগ্লোবিন ও প্লেটলেটের ঘাটতি হয়ে গিয়েছিল। আর ঠিক এই সমস্যাটি নিয়েই চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল চিকিৎসকদের কপালে। এবার সেই সমস্যারই সমাধান করলেন বেলভিউ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
গত ৬ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সেদিন থেকেই তাঁর আরোগ্য কামনায় সারা বাংলা তথা গোটা দেশ। তাঁদের এই প্রার্থনার জোর যে ফেলুদাকে এই পরিস্থিতি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবেই, আশাবাদী সৌমিত্র-অনুরাগীরা।