আজ ৬ নভেম্বর, পাকা এক মাস হল হাসপাতালের বেডে প্রকৃত যোদ্ধার মতো লড়ে যাচ্ছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee)। দিন দুয়েক আগেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের পর রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও অভিনেতার শারীরিক সচেতনতার হার চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছিল তাঁদের কপালে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতেই আশার কথা শোনা গেল। ধীরে ধীরে ফিরছে চেতনা। আওয়াজ শুনে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। চোখ খুলছেন। অর্থাৎ এই শারীরিক পরিস্থিতিকে যথেষ্ট ইতিবাচক বলেই মনে করছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার রাতের বুলেটিনে ডাঃ অরিন্দম কর জানিয়েছেন, "এখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তুলনামূলভাবে আগের চেয়ে সচেতনতার মাত্রা বেড়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। গ্লাসগো কোমা স্কেলের সূচকে ১০ থেকে ১১-র মধ্যে রয়েছে সচেতনতার হার। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে চোখ খুলছেন। এছাড়া ১ লিটারের মতো মূত্রত্যাগও করেছেন। এক দিন অন্তর ডায়ালিসিস চলছে।" দিন দুয়েক আগেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে যা জানিয়েছিলেন চিকিৎসক, তাতে অনুরাগীরা একপ্রকার দুশ্চিনার মধ্যেই কাটিয়েছেন। তবে বৃহস্পতিবারের এই খবরে যে তাঁরা একপ্রকার স্বস্তির নিঃশ্বাসই ফেলবেন, তা বলাই বাহুল্য।
এছাড়াও হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রবীণ অভিনেতার রক্তে ক্রিয়েটিনিন এবং ইউরিয়ার মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে এই মুহূর্তে। আশা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরিই তাঁর কিডনির কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। সেক্ষেত্রে আর ডায়ালিসিস করার প্রয়োজন পড়বে না। সংক্রমণও আগের চেয়ে অনেকটা সেরে গিয়েছে। শরীরে জ্বর নেই। অ্যানিমিয়া স্থিতিশীল। আজ রক্ত দেওয়া হয়নি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সেদিন থেকেই তাঁর আরোগ্য কামনায় সারা বাংলা তথা গোটা দেশ। তাঁদের এই প্রার্থনার জোর যে ফেলুদাকে এই পরিস্থিতি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবেই, আশাবাদী সৌমিত্র-অনুরাগীরা।