সৌমিতৃষা কুন্ডুকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। কারণ, তাঁর সিরিজ কালরাত্রি বেশ পছন্দ করেছেন দর্শকরা। আবার কেউ কেউ একবারেই রেগে আগুন এই সিরিজ দেখে। বেশিরভাগ এই সিরিজকে ইন্দুর অন্য আরেক ভার্সন বলেও উল্লেখ করছেন। আবার কেউ কেউ যারা সৌমিতৃষার ভক্ত তাদের যেন অপেক্ষার শেষ হয়েছে।
মনের দুঃখে একের পর এক সিঁড়ি বিয়ে পুকুরে নেমে যাচ্ছেন অভিনেত্রী। পরনে লাল রঙের একটা শাড়ি। এমন কি হল যে পুকুর কতটা গভীর না জেনেই, জলে নেমে যাচ্ছেন তিনি। আদৌ সাঁতার জানেন, নাকি সবটাই একবার পরীক্ষা করার জন্য? হুটহাট জলে নেমে যাওয়া নেহাতই সহজ ঘটনা নয়। কিন্তু অভিনেত্রী যা সাহস দেখালেন।
কিন্তু, এই সিরিজের শুটিং চলাকালীন কত কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে, সেকথা জানা আছে? অভিনেতা অভিনেত্রীদের অনেক কাণ্ডই করতে হয়। এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম না। সৌমি নিজেই সেই দৃশ্য দেখিয়েছিলেন সমাজ মাধ্যমে। তিনি কি সাঁতার শিখেছেন? অভিনেত্রী জানান, সিরিজের একমাস আগে সাঁতার শিখেছিলেন তিনি। কিন্তু যেটুকু শিখেছিলেন, তাতে করে জলে যদি কিছু হত নিজেকে বাঁচানোর মত উপায় থাকত না। কিন্তু এটা পুকুরের ওপরের শট। যেটা আসল পুকুরে হয়েছে।
সিরিজে বেশ কিছু জলের অন্দরের দৃশ্যও রয়েছে। অভিনেত্রীর কথায়, সেগুলো সুইমিং পুলেই শুট হয়েছে। তাঁর দল এবং টিমের তরফে যে ধরনের সাহায্য এবং সুবিধা তিনি পেয়েছেন সেটি প্রশংসনীয়। তিনি সকলের তৎপরতায় এই কাজ করতে পেরেছেন। এখানেই শেষ না। অভিনেত্রীকে দেখা গেল বর্ধমানে। তিনি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে বর্ধমানে দাঁড়িয়ে দেখে নিলেন মিষ্টি। একসময় মিঠাই সিরিয়ালের দৌলতে তিনি অনেক ধরনের মিষ্টির সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। তাই মিষ্টির প্রতি তাঁর আলাদাই ভালবাসা রয়েছে।
অভিনেত্রী রাত সাড়ে দশটার সময় বর্ধমানে দাঁড়িয়ে মিষ্টি কিনলেন। বললেন, এবারও বাড়ি নিয়ে যাব। আগেও একবার নিয়ে গিয়েছিলাম।